নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফারহান আহমেদ সাকিব (২০) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাকিব উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের ফজুল মিয়ার ছেলে। তিনি আড়াইহাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি এবং উপজেলার হাবিব বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
ময়নাতদন্তে শেষে শনিবার বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ । রাতেই আড়াইহাজারের নোয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করেছে পরিবার ।
শুক্রবার রাত ৮টায় বিষপান করেন সাকিব। এর আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি লেখেন ‘আমি মরে গেলে দুই তিন-দিন পর সবাই আমাকে ভুলে যাবে। কিন্তু আমি প্রতিটা দিন থাকব আমার মায়ের মোনাজাতে।’
আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবাইয়ের আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা জানায়, একই গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাকিবের। মেয়ের পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। পরে মেয়ের বাবা তাদের খুঁজে বের করে মেয়েকে নিয়ে আসেন এবং সাকিবকে তালাক দিতে মেয়েকে ‘বাধ্য’ করেন।
জানা যায়, কয়েকদিন আগে ওই মেয়েকে তার বাবা অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। তখন থেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সাকিব। এক পর্যায়ে তিনি বিষপান করেন। পরে হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত আড়াইহাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাকিবের বাবা ।









Discussion about this post