বুধবার (১৭ মার্চ) মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌর এলাকার খালপাড়ের বাসিন্দা আলহাজ আব্দুল লতিফ ।
তার বড় পুত্র ব্যাপক আলোচিত সামালোচিত অসংখ্য মামলার পলাতক আসামী এবং শেয়ার কেলেংকারীর অন্যতম হোতা আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এনটিভির সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদল বিদেশ থেকে বাবার মৃতদেহ দেশে পাঠিয়ে দাফনের ব্যবস্থাসহ সকল আয়োজন সম্পন্ন করলেও তিনি দেশে আসতে পারেন নাই ।
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদল দীর্ঘদিন নানা কারণে বিদেশে পলাতক থেকে তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নানাভাবে রূপগঞ্জ ছাড়াও দেশের নানা স্থানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । পিতার মৃত্যুর সময় পাশে থেকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করলেও মৃত্যুর পর জানায়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারে নাই । ফলে রূপগঞ্জের সর্বত্রই রয়েছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা । 
আলহাজ আব্দুল লতিফ মিয়ার জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নেয়া অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন অত্যান্ত ধুরন্ধর নানা অপরাধের হোতা আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এনটিভির সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদল অনৈতিক পন্থায় বিশাল অর্থ উপার্জন করলেও কি লাভ হয়েছে এই টাকা দিয়ে । হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জনকরেও আজ পিতার জানাযা দিতে পারছে না পুত্র । আশ্চর্যই লাগছে। বাদলের এমন অর্থ আর পিতার জানাযায় অংশ নিতে না পারা একটি উদহারণ হয়ে রইলো রূপগঞ্জে । এ থেকে সকলের শিক্ষা নেয়া উচিৎ।
লতিফ সিকিউরিটিজের কর্ণধার, এল. আর. গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জামদানি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আলহাজ আব্দুল লতিফ মিয়ার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বুধবার বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার চৌরাস্তা এলাকার বালুর মাঠে জানাজা হয়।
জানাজায় অংশ নেন বিএনপি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জানাজা শেষে খালপাড় বরাবো কবরস্থানে আব্দুল লতিফকে দাফন করা হয়।
আব্দুল লতিফ মিয়া এনটিভির সাবেক পরিচালক ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলের বাবা।
আব্দুল লতিফ মিয়া মালয়েশিয়ার কেপিজে আমপাং পুতেরি বিশেষায়িত হাসপাতালে দুই মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৭ মার্চ সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
জানাযা ও দাফনের পর অনেকেই বলেছেন : “মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদল দীর্ঘদিন নানা কারণে বিদেশে পলাতক থেকে তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নানাভাবে রূপগঞ্জ ছাড়াও দেশের নানা স্থানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । পিতার মৃত্যুর সময় পাশে থেকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করলেও মৃত্যুর পর জানায়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারে নাই । ফলে রূপগঞ্জের সর্বত্রই রয়েছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ।
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ মিয়ার জানাজা ও দাফন কাজে অংশ নেয়া অনেকেই আরো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, অত্যান্ত ধুরন্ধর নানা অপরাধের হোতা আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এনটিভির সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাদল অনৈতিক পন্থায় বিশাল অর্থ উপার্জন করলেও কি লাভ হয়েছে এই টাকা দিয়ে । হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জনকরেও আজ পিতার জানাযা দিতে পারছে না পুত্র । আশ্চর্যই লাগছে। বাদলের এমন অর্থ আর পিতার জানাযায় অংশ নিতে না পারা একটি উদহারণ হয়ে রইলো রূপগঞ্জে । এ থেকে সকলের শিক্ষা নেয়া উচিৎ।”









Discussion about this post