নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন ভূলতা পুলিশ ফাড়িঁতে জোর পূর্বক ৩ বছরের এক ছেলেকে বাবার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মা’র কাছে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে ওই এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর বারেক মিমাংসার জন্য পুলিশ ফাঁড়িতে দরবার করে জোরপূর্বক সন্তানকে কেড়ে নিয়ে মায়ের কাছে তুলে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ছেলেটির বাবা।
শিশুর বাবা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ১৬/১২/২০১৫ সালে নিকাহ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার ধামশ্রেনী গ্রাম নিবাসী ফুল মিয়ার ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ও পিরোজপুর জেলার পোরগোল নিবাসী শহিদুল হাওলাদারের মেয়ে শেফালী বেগম।
প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় শেফালীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আমিরুল। বিবাহের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান আসে। নাম সালমান ফার্সি নুর। সন্তানকে নিয়ে তারা রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট এলাকার এমরানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়াতে শেফালী বেগম নিকাহ রেজিষ্ট্রারের নিকট গিয়ে ২৬/১২/২০১৯ইং তারিখে একতরফা ভাবে আনোয়ারুলকে তালাক দিয়ে সন্তানকে নিয়া দেশের বাড়ি চলে যায়। এ ব্যাপারে আনোয়ারুল কিছুই জানেন না।
পরে আনোয়ারুল বেড়ানোর কথা বলে গত ০৩/০৪/২০২১ ইং তারিখে শেফালীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে না জানিয়ে সন্তানকে নিয়া আসেন।
খবর পেয়ে শেফালী শুক্রবার রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করে আনোয়ারুলের ভাড়া বাড়িতে পুলিশ নিয়া আসে। ভূলতা ফাঁড়ির এসআই বারেক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়া সন্তানসহ আনোয়ারুলকে ভূলতা ফাঁড়িতে নিয়া আসে। এসময় এস আই বারেকজোরপূর্বক ৩’শ টাকার একটি সট্যাম্পের মধ্যে আনোয়ারুলের কাছ থেকে সহি নিয়া সন্তানকে বাবার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়া মায়ের কোলে দেন। সাত বছর পূর্ণ হওয়ার পর সন্তানকে বাবা ফেরত পাবে এমন কথা লেখা রয়েছে ষ্ট্যাম্পে।
এ ব্যাপারে ভূলতা ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজিমউদ্দিন মজুমদার বলেন, ছেলেটির বয়স ৩ বছর হওয়ায় আইন অনুসারে ছেলেটি এখন তার মায়ের কাছে থাকবে। তার বয়স ১২ বছর হলে ছেলে চাইলে তার বাবার কাছে চলে যেতে পারবে। এ ঘটনাটি আইন অনুসারে মিমাংসা করা হয়েছে।
এমন ঘটনায় প্রত্যাক্ষদর্শী কয়েকজন ভূলতা ফাড়ি পুলিশের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ আদালত সুস্পষ্ট ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন থানা ফাড়িতে কোন পুলিশ বিচার – শালিসি বৈঠক যেন না করে ৷ এরপর আবার স্ট্যাম্পে সই নিলো কি করে ? তাহলে কি ভুলতা ফাড়ি আদালতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো ? এই বিচার করার দায়িত্ব তাদের দিলো কে ?
এমন ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জসিম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আদালতের কোন নির্দেশনা থাকলে এমন সন্তানকে হস্তান্তর করতে পারে । নইলে থানা বা ফাড়িতে কোন পুলিশ বা পুলিশের কর্মকর্তা স্ট্যাম্পে সই নিয়ে আবার শিশু সন্তানকে জোরপুর্বক বাবার কাছ থেকে নিয়ে মায়ের কাছে হস্তান্তর করতে পারে না । উচ্চ আদালত এমন শালিশী অথবা বিচার থানায় করা যাবে না বলেও নির্দেশনা বয়েছে । এমন ঘটনা আমি জানি না ।
খোজ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখিছি বলে জানান ওসি জসিম উদ্দিন ।









Discussion about this post