প্রায় দুই মাস পূর্বে তল্লা মসজিদের ট্রাজেডিতে ৩৪ জন মুসুল্লীর মৃত্যুর পর তিতাস কর্তৃপক্ষের নানা নাটকীয়তায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তল্লা এলাকার অনেকেই । হতাহতদের পরিবার ছাড়াও স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, তিতাসের ৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রথমে বহিষ্কার করা হলো, এরপর গ্রেফতার পরবর্তীতে আবার মুহুর্তেই জামিন ।
এ যেন ইদুর বিড়াল খেলা ।
আর এতো ঘটনার তিতাসের নেপথ্যের কলকাঠি নেড়ে নানাভাবে ফায়দা লুটছে তিতাস থেকে অবসরে যাওয়ার পরও সিবিএ নেতা কাজিম উদ্দিন । যার ভূমিকা নিয়ে সর্বত্র রয়েছে সমালোচনা । এরপর আজ শুক্রবার গ্রেফতার করা হলো মসজিদ কমিটির সভাপতি কে।
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় এবার মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৩০ অক্টোবর শুক্রবার রাতে তল্লার নিজ বাসা থেকে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
হতাহতের ঘটনায় চার্জশীট (অভিযোগপত্র) চূড়ান্তের পথে। এতে ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করা হতে যাচ্ছে।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৩৬ জনের বিষয়ে কাজ চলছে। এ ৩৬ জনের মধ্যে তিতাসের ৮জন, ডিপিডিসির দুইজন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ২৬ সদস্য রয়েছে। তবে এটা কম বেশী হতে পারে।
এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী সহকারী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, কর্মী ইসমাইল প্রধান, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইউব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মনিবুর রহমান চৌধুরী এবং অভিযোগপত্রে ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের মিটার রিডার আরিফুর রহমান ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিপিডিসির দুজন গ্রেপ্তার হন।
বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ছেন। তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জামিনে বেরিয়ে গেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক রয়েছেন দুই জন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।









Discussion about this post