নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত । ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় বাবুকে নারায়ণগঞ্জ গােয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠালে সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আফতাব উদ্দিন আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন । এমনটি জানিয়েছেন কোর্ট দারোগা কামাল হোসেন ।
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে ডিবির একটি দল বন্দর তানায় দায়ের করা মামলায় আবদুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুকে কে গ্রেপ্তার করে । সন্ধ্যায় তাকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত কারাগারে পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জ ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক জানান, বন্দর থানায় কাউসার নামের একজন ডিশ ব্যবসায়ী ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজীর মামলা করে বাবুর বিরুদ্ধে । ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাবুকে নিয়ে আরো আসামি ধরতে অভিযান চলছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্দর থানার একটি মামলায় বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী মো. কাউসার। সে বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকার মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামী আব্দুল করিম বাবু (ডিস বাবু) দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। বিবাদী জোরপূর্বক বন্দরে তার লোকজন দিয়ে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা করছে ও বিভিন্ন জায়গায় কেবল নেটওয়ার্কের তার কেটে নিজস্ব নেটওয়ার্ক লাইন সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধিকারী পারভেজ আলম, সাইফুল ইসলাম শ্যামলের সাথে বাবুর দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। নেটওয়ার্কের ব্যবসার জন্য এলাকার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের মালিকের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরই জেরে গত ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টায় বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা বাজারের রিতুর বাড়ির সামনের নেটওয়ার্কের মেরামত কাজ করা কালে আসামী বাবুর প্ররোচনায় সহযোগীতায় ও নির্দেশে মো. সজিব (৩৫), মো. রিতু (৩২), মো. রনি (৩৪), মো. জুম্মাল (৩৪), মো. নিজুম, মো. রানা (৩৫) সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪ থেকে ৫জন বিবাদী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবন্ধে পথরোধ করে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে নগদ সাড়ে ১০ হাজার টাকা, একটি ফাইভার মেশিন যার মূল্য দেড় লাখ টাকা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও একটি মই মূলা নিয়ে যায়। এছাড়াও বাবুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এতো অপরাধের পরও প্রায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের অনেক কর্মকর্তাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবু,ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুর গভীর সখ্যতা দেখা যায় ।
কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় পাইকপাড়া এলাকার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ দিয়ে এতো অপকর্ম করার পর নিজেকে তো আর রক্ষা করতে পাররো না মাউরা বাবু । সাপ নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে খেলা করলে সেই সাপ যে ছোবল দেয় বাবু হলো তার জ্বলন্ত প্রমান । পাপ করে তার খেসারত দিচ্ছে কাউন্সিলর বাবু । এমন মন্তব্য অনেকের ।









Discussion about this post