প্রেসক্লাব হলো জাতীর বিবেকদের মিলনস্থল । যেখানে অবস্থান করেন সমাজের আয়না হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক মহল । আর সেই সাংবাদিকদের কোলাহলমুখর নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচনের আর মাত্র বাকী এক দিন । আগামী ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা ও দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচনে ৬৭ জন স্থায়ী সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এবার ১১টি পদের জন্য দুটি প্যানেল থেকে ২২ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ব্যবসা সমৃদ্ধ প্রাচ্যের ড্যান্ডি হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচনকে সামনে রেখে সকলের দৃষ্টি সাংবাদিকদের দিকে । তারা কোন কোন প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন সেই দিকে সকলের নজর থাকলেও এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে এমন নির্বাচনকে ঘিরে ।
নগরবাসীর অনেকের প্রশ্ন : আসলেই কি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৬৭ জন সাংবাদিক তাদের স্বচ্ছাতার সাথে নারায়ণগঞ্জের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ জেলায় কাজ করতে পারছেন ? তারা কি জনস্বার্থে কাজ করেন নাকি নিজ নিজ স্বার্থের পিছনে ঘুরে বেড়ান । এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে সমালোচনা রয়েছে নারায়ণগঞ্জের অপরাধী চক্রের সাথে সাংবাদিকদের বিশাল আঁতাত রয়েছে । এবং যাদেরকে সমাজের আয়না বলা হয়ে থাকে তারা নিজেরাই কেউ কেউ ভয়ংকর অপরাধ মাদকের সাথে সাথে যুক্ত ।
শুক্রবার ২৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নব নির্মিত প্রেসক্লাব ভবনের ষষ্ঠ তলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ফুয়াদসহ অনেক গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন । এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে বৃহৎ একটি অংশ । প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের বড় একটি অংশের অনুপুস্থিতিতে উপজেলা ও থানা পর্যায় থেকে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে ডেকে এনে মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ডিসি, এসপি উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান স্বার্থক করার চেষ্টা চালানো হয় । যা নিয়ে এখনো পুরো জেলাজুড়ে রয়েছে সমালোচনা/বিতর্ক ।

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এমন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বৃহৎ একটি অশের অনুপুস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি ফেসবুক লাইভে মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ডিসি, এসপির পাশে দাড়িয়ে অবস্থান নেয় এক মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয় নগরজুড়ে।
২৫ ডিসিম্বর শুক্রবার প্রেসক্লারে নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ নগরজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক থেকে আরো জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী সারা দেশে যখন সেনা বাহিনী দেশের সকল ক্ষমতা গ্রহণ করেন ঠক এমন সময় অথ্যান্ত সাহসিকতা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিতর্কিত কিছু লোক নিজেদেরকে প্রেসক্লাবের হর্তকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশাল মাদক নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে প্রবেশের সময় ১৫ জানুয়ারী সোমবার সকালে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়। বিতর্কিত ওই হর্তাকর্তা গ্রেফতার হলেও চাষাড়াস্থ সিআইডির দপ্তরে ছুটে যান কয়েকজন সাংবাদিক । তৎসময়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ছাড়া পেলেও সেই বিতর্কিত মাদক ব্যবসায়ী এখন আবার প্রেসক্রাবের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন । দীর্ঘদিন পর এমন মাদক ব্যবসায়ী আবারো প্রেসক্লাবে সরব উপস্থিতি এবং নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কয়েকজন নাম প্রকাশ না কার অনুরোধে বলেন, যিনি মাদক ব্যবসার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত তাকে নিয়ে সকলেই বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে কয়েকজন সদস্য আছেন যারা কোন সময়ই নিউজ কি জিনিষ তা বুঝেন না ! একটা সংবাদ তৈরী করতে বললে তারা লিখতেও পারবেন না ! অথচ তারাই প্রেসক্লাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে যাচ্ছেন । আশ্চর্য না হয়ে পারছি না । এমন মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকরা বিতর্কের মুখে পরতে হয় ।
সোমবার ৩০ নভেম্বর প্রেসক্রাবের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ডিসি, এসপির পাশে এমন কুখ্যাত মাদক ব্যবসাীয়র অবস্থান নিয়ে তৎসময়ে তাৎক্ষনিক সমালোচনায় অনেকেই বলেছেন, প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ নিয়ে কোন পত্রিকায় সাংবাদিকতা না করেও সাংবাদিকতার কার্ড নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীকে কি বোঝাতে চাইছেন প্রেসক্লাবের বিজ্ঞজনেরা ? যার বিরুদ্ধে এখনো মাদক ব্যবসার তকমা লেগে আছে তাকে নিয়ে প্রেস ক্লাবের কি এমন স্বার্থ রয়েছে ! যাকে নিয়ে পুরো নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকগণ মাথা নত করতে হয় তেমন সমালোচিত মাদক ব্যবসায়ী মন্ত্রী এমপি মেয়র, ডিসি এসপির সাথে দাড়িয়ে ফটোসেশান করার সাহস করে কি করে?









Discussion about this post