জয় বাংলা আওয়ামীলীগের কোন দলীয় স্লোগান নয় এটি মুক্তিযোদ্ধাদের রণধ্বনি। মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার পাশাপাশি এ রণধ্বনি দিয়ে পাক হানাদারদের মনবল ভঙ্গ করেছিল। অনেকেই আজ মনে করেন জয় বাংলা দলীয় স্লোগান এটি কখনোই দলীয় স্লোগান হতে পারে না। এ স্লোগানকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব স্লোগান করা উচিত।
বিশেষ প্রতিনিধি :
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধের গৌরবের কথা ও রাজাকারদের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজ্জাম্মেল হক। এজন্য পাঠ্যবই সংশোধন করার কথাও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো জানান, বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের বোনাস প্রদান করা হবে। ১৫ হাজার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন গেজেট প্রকাশ করে ওয়েব সাইডে তা প্রকাশ করার কথাও জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাহাপুর এলাকায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের এসব পরিকল্পনার কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজ্জাম্মেল হক।
মন্ত্রী আরো জানান, মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত থাকাবস্থায় গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ তিন হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি আরো বলেন, বদ্ধভূমি, মুক্তিযোদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষন করা হবে। এসব স্থান একই নকশায় সংরক্ষন করা হবে। দখল হয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধের স্থান ও বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার করা হবে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে পরিচয় পত্র বিতরণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে দাফন খরচ ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হতো। এ টাকার পরিমাণ ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। প্রয়োজনে পরিবহন খরচ দেওয়া হবে।
নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা থেকে বিচ্যুতি হয়ে অন্য কোন ভুল আদর্শে পরিচালিত না হয়, সেজন্য নিজ সন্তান্দের প্রতি খেয়াল রাখতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসীমউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী অধ্যক্ষ শিরিন বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা সম্পাদক ড. সেলিনা আক্তার, উপজেলা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন।









Discussion about this post