শিল্পপতি ও কিং মেকারখ্যাত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী বলেন, যারা আজকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাত দিয়েছে তাদের জবাব দেয়ার জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধারাই যথেষ্ট। তারপরেও আমরা ব্যবসায়ী সমাজ যারা আছেন অনুরোধ করছি সবাই মিলে আমরা প্রতিহত করবো। যেভাবেই হোক প্রতিহত করবো।
১২ ডিসেম্বর শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে ৩৩ টি স্থানীয় ও ১০টি জাতীয় সংগঠনের উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। আজকে যদি দেশ স্বাধীন না হতো যারা উচ্ছৃশৃংখলতা করছেন তারা কিন্তু কথা বলতে পারতেন না। আপনারা যারা ব্যবসা করছেন তারা ব্যবসা করতে পারতেন না। যারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা বর্থ্য ঘটিয়েছিল তারাই বিরোধীরা করছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা ভুলে যাইয়েন না এ দেশ জন্ম দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর কথা ভুলে যাইয়েন না। আমরা চাই সারাবিশ্বে যেভাবে প্রতিকৃতি আছে তেমনিভাবে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি থাকবে। ব্যাবসায়ীরা সবাই মিলে সহযোগিতা করবেন।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এহসানুল হক নিপু, শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, পাট আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহসীন মিয়া, বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, সিটি বন্ধন মালিক সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল হোসেন, চিনি ও ভোজ্য তেল মালিক সমিতির সভাপতি সংকর সাহা, রেস্তোরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ হেনা, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ দিপু, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ সাহা, ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন প্রধান সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।









Discussion about this post