নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আউয়াল শহরের বালুর মাঠ এলাকার রেস্টুরেন্ট কাম মদের বার ব্লু পিয়ারের বিরুদ্ধে আবারও কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ব্লু পিয়ার নামে যে মদের আড্ডাখানা এখানে চলছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান সাহেব আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন এটা এখানে থাকবে না।
আমরা তাদের কথায় বিশ্বাস করে আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। এখন দেখতে পাচ্ছি যে সেটা আবার পুনরায় চলছে।
রবিবার (২৬ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে কওমী মাদ্রাসা খুলে দেওয়া ও ঈদে পশুর চামড়া ন্যায্য মূল্যে বিক্রির দাবিতে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মানবন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন ঈদ সামনে তাই কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না। আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি অনতিবিলম্বে এটা বন্ধ করে দেন। নয়তোবা নারায়ণগঞ্জের মধ্যে এমন পরিস্থিতি দাঁড়াবে যে নারায়ণগঞ্জে রক্তের বন্যা বয়ে দিয়ে হলেও এই মদের আস্তানাকে এখান থেকে সরিয়ে ছাড়বো।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতির মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে শেষ করা হচ্ছে। মাননীয় সরকার বাহাদুর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দুর্নীতিকে কঠিনভাবে শায়েস্তা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিকে সরকার কঠোরভাবে শাস্তির আওতায় নিয়ে এসেছে। সরকার বাহাদুর আপনি পারেন না এমন কিছু নাই। আপনি ইচ্ছা করলে সব কিছু করতে পারেন। সেই হিসেবে চামড়া শিল্প শুধু মাত্র মাদ্রাসার দাবি নয়, গরিব দুঃখীদের দাবি। যে গরিবদের বিভিন্ন ভাবে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই গরিব দুঃখিদের পেটে লাথি মারার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমি অনুরোধ করবো তাদেরকে কঠিনভাবে শাস্তির আওতায় এনে চামড়া শিল্পকে বাচান।
মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ৮ আগস্ট মাদ্রাসার সকল বিভাগ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তটাকে আপনার পক্ষ থেকে ঘোষণা দিন। এর বিপরীত হলে আমরা সকল জনগণকে নিয়ে মাদ্রাসাগুলো খোলার জন্য ময়দানে নামতে বাধ্য হবো। এবং এমন কঠিন আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে যে দেশ অচল হয়ে যাবে। এই আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের দিকে আপনারা পা দিবেন না।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন মাওলানা আউয়াল পন্থি অনেক মাওলানা এবং ধর্মীয় নেতারা ।









Discussion about this post