নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত আড়িয়াবো মৌজার আরএস ১০৪, ১০৬ নং দাগের সড়ক ও জনপথের (সওজ) এবং খাস খতিয়ানের ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ১২৬ শতাংশ অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি উদ্ধার করেছে তারাবো পৌরসভা।
গতকাল (৪ জানুয়ারি) মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযানে অর্ধ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ২০০৪ সাল থেকে অবৈধ দখলে নিয়ে নিজ নামে মার্কেট, দোকান, টেইলার্স, সেলুন,ফার্ণিচারের দোকান, রড সিমেন্টের দোকান, সেলাই কারখান, গাড়ির টিকেট কাউন্টার ও টিনশেট বসত ঘর গড়ে তোলেন।
স্থানীয় প্রশাসন, ভূমি অফিস, পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযানে তারাবো পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী জেড এম আনোয়ার হোসেন,সচিব তাইজুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, তারাবো পৌরসভার কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান জাকারিয়া, লায়লা পারভিন, রাসেল সিকদার, মাহফুজা আক্তার, আক্তার হোসেন মোল্লা, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, ফিরোজ ভুঁইয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে উচ্ছেদ হওয়া জাহিদ ষ্টোরের মালিক জাহিদ হাসান বলেন, জমির মালিক দাবিদার শাহীন ভুঁইয়া স্বপনের কাছ থেকে তিনি পজিশন ক্রয় করে দোকান ঘর তুলেছেন। জমিটি শাহীন ভুঁইয়া অবৈধভাবে দখল করেছিলেন কিনা তা জাহিদ হাসানের জানা নেই বলে দাবি করেন।
অভিযানে উচ্ছেদ হওয়া তাইজউদ্দিন ও শাহজাহান মিয়া বলেন, অবৈধ দখলের বিষয়টি না জেনেই তারা শাহীন ভুঁইয়া স্বপনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে সরকারি জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
এ ব্যাপারে অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাহীন ভুঁইয়া স্বপন বলেন, অন্যায়ভাবে আমার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তারাবো পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরে বহুবার নোটিশ করেও তাদের উচ্ছেদ করা যায়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে তারাবো পৌর মার্কেট নির্মাণ করে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভ‚মিহীনদের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিয়মানুযায়ী দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।









Discussion about this post