নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকার ৫০০ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওয়েলকেয়ার কনসোর্টিয়াম লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ অভিযোগ আনে।
এই ৫০০ বিঘার মধ্যে অর্ধেকই নিজেদের বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এ বি জামান।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ বি জামান এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে রফিকুলকে ফোনে কল করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওয়েলকেয়ার কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২২ এপ্রিল বেলা ১১টার সময় রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার মাঝিনা মৌজার ওয়েলকেয়ারের অফিসে এসে রফিকুল ইসলামসহ তাঁর সহযোগীরা চাঁদা দাবি করেন। টাকা পয়সা না দেওয়ায় তাঁরা অফিসে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের বের করে দিয়ে অফিস ভাঙচুর করেন ও মালামাল লুট করে নিয়ে যান। আর মাঠের ভেতরে থাকা ওয়েলকেয়ার কোম্পানির দুটি টিনের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন রফিকুল। ওই টিনের ঘরে ছয় থেকে সাতজন লোক থাকেন। যাঁরা কোম্পানির পাহারাদার ছিলেন।
রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, জমির যেসব স্থানে ওয়েলকেয়ার কোম্পানির সাইনবোর্ড ছিল, তা মুছে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নাম লেখা হয়। ওই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে রফিকুল ইসলাম কৌশলে মানুষের জায়গা দখল করেছেন। বিষয়টি ৯৯৯ ফোন করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়। পরে রূপগঞ্জ থানার দুই থেকে তিনজন পুলিশ সদস্য সেখানে আসেন। তবে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগে জানানো হয়। পরে ওয়েলকেয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত উভয় পক্ষকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসীম উদ্দিন বলেন, অনেক দিন ধরে ওয়েলকেয়ার কোম্পানির সঙ্গে জমি–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছে। পরে ওয়েলকেয়ার কোম্পানি আদালতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উভয় পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে ওয়েলকেয়ার কোম্পানির পক্ষ থেকে কেউ থানায় আসেননি।
রফিকুল ইসলাম রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেও রূপগঞ্জসহ জেলার সর্বত্র তিনি আন্ডা রফিক হিসেবে পরিচিত । আন্ডা রফিক না বললে কেউ তাকে সহসা চিনেন না বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে থাকা অনেকেই। তাঁর (রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিক) বিরুদ্ধে আগেও স্থানীয় মানুষের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে।









Discussion about this post