নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাফিয়া বেগম (৭৮) নামে এক বৃদ্ধাকে বুকে ছুড়ি মেরে ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের জাঙ্গীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা সাফিয়া বেগম উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের জাঙ্গীর এলাকার শাহজালাল ভুইয়ার স্ত্রী। পরিবারের ধারনা, সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনতাই করতে গিয়ে মাদকসেবী ও জুয়ারীরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
নিহত সাফিয়া বেগমের নাতনি জামাই জহিরুল ইসলাম জানান, তার বৃদ্ধ নানা শশুর শাহজালাল ভুইয়া ও নানী শাশুরী সাফিয়া বেগম জাঙ্গীর গ্রামের নিজের বাড়িতে একটি মাটির ঘরে বসবাস করতেন। সাফিয়া বেগমের গলায় চেইন, হাতে চুড়ি ও কানে দুল পড়া ছিলো। দুপুর দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা সাফিয়া বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে ও বুকে ছুড়ি মেরে গুরুতর আহত করে। পরে আশেপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা সাফিয়া বেগমকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জহিরুল ইসলাম আরো জানান, শাহজালাল ভুইয়া ও সাফিয়া বেগমের সঙ্গে এলাকার কারো কোন দিন বিরোধ ছিলো না। বাড়ির আশ-পাশে মাদকসেবী ও জুয়ারীদের আনাগোনা বেশি। সাফিয়া বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল নেই। তবে, হাতের চুড়ি পাওয়া গেছে। পরিবারের লোকজন ধারনা করছে, মাদকসেবী ও জুয়ারীরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সাফিয়া বেগমের বাড়ির পাশেই মাদকের বড় ধরনের স্পট রয়েছে। রয়েছে জুয়ার স্পটও। আর যারা এসবের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তারা এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এদের গ্রেপ্তার করলেই হয়তো হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে।
এদিকে, একমাত্র কন্যা ফেরদৌসি বেগম ও স্বামী বৃদ্ধ শাহজালাল ভুইয়া সাফিয়া বেগমকে হারিয়ে প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছে। যারা এ ধরনের অপরাধ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে এবং গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
লাশের সুরতহাল করে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মাহাবুব বলেন, লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, যেকোন মূল্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।









Discussion about this post