অসংখ্যবার নারাযণগঞ্জ জেলার শহর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন চিকিৎসক নামধারী প্রতারকদের গ্রেফতার করলেও এখনো চলমান রয়েছে এমন প্রতারণা । খোদ শহরের চাষাড়া ও বঙ্গবন্ধু সড়কে কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এমন অপকর্ম চারিয়ে যাচ্ছে অবিরামভাবে বিনা বাধায় । এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধেও কঠোর হস্তে ব্যবস্তা নেয়ার জোড়ারো দাবী রয়েছে সর্বত্র
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বেসরকারি একটি ক্লিনিক হতে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী এলাকার স্বদেশ সেন্ট্রাল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে থেকে তাকে আটকের পর আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক ভুয়া চিকিৎসকের নাম জহিরুল ইসলাম। তিনি বগুড়ার শেরপুর থানার বনবীর বালা এলাকায় মোঃ শাজাহান আলীর ছেলে।
র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক লে.কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল ও ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিপিএসসির বিশেষ অভিযানে উপজেলার তারাবো পৌরসভার রূপসী এলাকার “স্বদেশ সেন্ট্রাল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে” রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লেখার সময় ভূয়া চিকিৎসক মোঃ জহুরুল ইসলামকে (৩২) আটক করেন তারা। এ সময় আটক ভুয়া চিকিৎসকের নিকট হতে অন্য চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করা প্রেসক্রিপশন (যেখানে ডাঃ বি এম কর্মকারের ভুয়া সীল ও স্বাক্ষর করা) রোগী দেখার স্টেথিস্কোপ, স্পেনোমিটার ও ভুয়া সীল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে চর্ম, যৌন, মেডিসিন, মা ও শিশু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে “স্বদেশ সেন্ট্রাল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে” নিয়মিত রোগীদের বিভিন্ন ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রেসক্রিপশন দিয়ে আসছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত চিকিৎসক তার ব্যবহৃত সীলে নিজেকে ডাঃ মোঃ জহুরুল ইসলাম, ডি.এম.এফ (ঢাকা), বি.এইচ.এস (স্বাস্থ্য), উপ সহকারী (কো.) মেডিকেল অফিসার উল্লেখ করেছে। আসলে সে অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রতারনা করে আসছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাব।









Discussion about this post