নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশ এ ঘটনায় স্তব্ধ। একসঙ্গে এতজনের প্রাণহানি খুবই দুঃখজনক। প্রথমে তিনজন পরবর্তীতে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিস কিছু জীবিতদেরকেও উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কারখানায় কতজন লোক কাজ করত, সবই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতা করা হয়েছে। আরও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে।
মামলা ও দোষীদের শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই মামলা হবে, এর সঙ্গে সামান্যতম দোষীদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তবে তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত শেষে অবশ্যই তদের বিচার হবে।
কারখানায় শিশুশ্রমের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কতজন শিশুশ্রমিক ছিল তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, ইউএনও ও ডিসি তাৎক্ষণিকভাবে এখানে আসছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদেরকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে।
ছাদ আটকানো ছিল এবং সিড়িতে তালা দেয়া ছিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৭ জনকে ছাদ থেকে বড় একটি মই দিয়ে রেস্কিউ করেছে ফায়ার সার্ভিস। সিড়িতে ও ছাদে তালা দেয়া ছিল কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন বেশ কিছু শ্রমিক।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় ৩০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ওই ভবনের চারতলা থেকে ২৬ নারীসহ ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ জনে।









Discussion about this post