র্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী হতে ২৭২০ লিটার চোরাই অপোরিশোধিত সয়াবিন তেলসহ চোরাই চক্রের ০৪ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার ।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল অদ্য ২৯ জানুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ রাত ০২.৫০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন রূপসী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৪টি ড্রাম ভর্তি ২,৭২০ লিটার চোরাই অপোরিশোধিত সয়াবিন তেল উদ্ধারসহ চোরাই চক্রের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলোঃ ১। মোঃ মন্টু মিয়া (৩৫), ২। মোঃ মিজান হাওলাদার (৪৫), ৩। মোঃ মাসুম হোসেন মোল্লা (৩৫) ও ৪। মোঃ মানিক (৩০)। এসময় চোরাই কাজে ব্যবহৃত ০১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ে সয়াবিন তেলের কারখানা গড়ে উঠেছে। এই তেলের কারখানাগুলোতে প্রতিদিন গভীর সমুদ্র বন্দর হতে আমদানিকৃত অপোরিশোধিত সয়াবিন তেলভর্তি শত শত তেলের লাইটার জাহাজ আসে। পণ্য খালাসের জন্য লাইটার জাহাজগুলো কারখানার পাশে নদীতে নোঙ্গর করা থাকে।
রূপসী এলাকায় নোঙ্গর করা এই সকল তেলের লাইটার জাহাজ হতে দীর্ঘদিন যাবৎ তেল চুরির একটি সিন্ডিকেট অসাধু কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে তেল চুরি করে বিক্রি করে আসছে। লাইটার জাহাজের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে বিশেষ কায়দায় মোটর সেট করা নৌকা ব্যবহার করে তারা নোঙ্গর করা অপোরিশোধিত সয়াবিন তেল ভর্তি তেলের লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে এবং চোরাইচক্র আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যএই চোরাই তেল কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে।
র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল কর্তৃক দীর্ঘদিন এই চোরাই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারী করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অদ্য ২৯ জানুয়ারি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ রাত ০২.৫০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন রূপসী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙ্গর করা লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে ড্রামভর্তি অবস্থায় বিক্রয়কালে হাতে-নাতে উক্ত চোরাই চক্রের ০৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, শীতলক্ষ্যা নদীতে বারেক, আব্দুল্লাহ, নাসির, মানিক ওরফে পতিতাপল্লীর মানিকসহ আরো কয়েকটি চক্রে এমন চোরাই সোয়াবিন তেলের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে । সদর থানা ওসি, বন্দর থানার ওসি, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), রূপগঞ্জ থানার ওসি ছাড়াও সিআইডি পুলিশের ক্যাশিয়ারদের মাধ্যমে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে এমন চোরাই তেলের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে ।
তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ উপায়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে চালিত তেলভর্তি লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে এবং মজুদ করে অবৈধভাবে কেনাবেচা করে আসছে। এই চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মুলতঃ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের এমন মাসোয়ারা প্রদান করায় নির্বিঘ্নে অপরাধ কর্মকাণ্ড চলবেই বলে জানায় তেলচোর চক্রের কেউ কেউ ।









Discussion about this post