আমরা কলাগাছিয়াবাসী এতটাই দূর্ভাগা যে এতোদিন এক তেল চোরা দেলু মাতাল অবস্থায় আমাদের এলাকাবাসীকে চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিতেন আর এবার আরেক চোর যাকে সকলেই গ্যাস চোর হিসেবেই চিনেন সেই কাজিম উদ্দিন নির্বাচনে জয়লাভ করলে তার কাছ থেকেই এলাকার লোকজন চারিত্রিক সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে । যাকে ইতিমধ্যেই আমাদের এমপি সেলিম ওসমান গাঞ্জটি বলে মন্তব্য করেছেন । আমাদের এই ইউনিয়নে কি কোন ভালো মানুষ নাই ? আামদের এলাকার জনপ্রতিনিধি হবেন তেলচোর অথবা গ্যাস চোর ! যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ষোলকলা পূর্ণ হবার ফিরিস্তি সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে । আমারা আসলেই দূর্ভাগা ।
বন্দর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আর মাত্র ৬ দিন বাকি। এর মধ্যে ৫টি ইউনিয়নেই জমে উঠেছে নির্বাচনী ধামাকা। তবে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী লড়াই চলছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে। যেন বাঘে মহিষে যুদ্ধ। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
একজন হলেন নানাভাবে বিতর্কিত বহু অপরাধের হোতা আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী কাজিমউদ্দিন প্রধান ও অন্যজন হলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত একই ধরণের অপরাদের অভিযোগে অভিযুক্ত লাঙল প্রতিকের প্রার্থী বিতর্কিত দেলোয়ার হোসেন প্রধান।
এদের দুইজনের উঠান বৈঠকগুলোতে একজন অপরজনের বিষোদাগার করে বেড়ায় এমনই লক্ষ করা যায়। একজন আরেকজনকে বলছেন গ্যাস চোর। অন্যজন বলছেন তেল চোর। উভয়প্রার্থীদের মধ্যে যেন চিরশত্রু মনোভাব লক্ষ করা গেছে।
এদিকে কলাগাছিয়ায় লাঙ্গলের পক্ষে উঠান বৈঠকে জাতীয়পার্টির জেলা ও মহানগরের নেতাদের দেখা যায়। মাঝে মাঝে সিটি কর্পোরেশন থেকে কাউন্সিলরদেরও লাঙ্গলের পক্ষে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। তারা ওসমান পরিবারের সন্তুষ্টির জন্য লাঙ্গলের সমর্থন করছেন বলে জানা যায়। এমনকি তারা আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে নানা উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
অপরদিকে নৌকা মার্কা প্রচারনায় বাংলাদেশ তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের কলাগাছিয়ায় কাজিম উদ্দিনের পক্ষে প্রচারনা ও শোডাউন করতে দেখা গেছে। কারন কাজিমউদ্দিন প্রধান সিবিআই সভাপতি তাই তারা পরিদর্শনে আসেন।
এলাকার সাধারণ মানুষের কঠোর মনোভার থেকে আরো জানা জানা, গ্যাস চোর কাজিম উদ্দিনের ইতিহাস কে না জানেন । তাকে (কাজিম উদ্দিনকে) এতোদিন পুরো জেলাবাসী ই চিনেন গ্যাস চোর হিসেবে । গ্যাস চুরির টাকার তিনি কি না করেছেন । শত শত কোটি টাকার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন এই চুরির টাকার । তার কাছ থেকে বখড়া নেন না এমন কম লোকই আছেন। কাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে কেউ খালী হাতে ফিরে আসেন নাই । সম্প্রতি এই কাজিম উদ্দিনকে গাঞ্জা নৌকা বলেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান । পুরো নারায়ণগঞ্জবাসী জানতেন কুখ্যাত তেলচোর দেলোয়ার হোসেন প্রধান দীর্ঘদিন যাবৎ তেলচুরির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে । সেই চোরাই টাকায় কাজিম উদ্দিনের মতোই সুবিধাভোগিদের ম্যানেজ করতে মহাপটু দেলোয়ার । তেলচোর দেলুর কাছ থেকে কেউ খালী হাতে ফিরে আসে নাই । পুলিশ, প্রশাসন, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ অসাধু এমন কেউ নাই যাদেরকে ম্যানেজ করতে এই দুই স্বীকৃত চোরের কাছে গিয়ে খালী হাতে ফিরে এসেছে কেউ । আর এই স্বীকৃত তেল ও গ্যাস চোর এখন বীরের বেশে ভোটের মাঠে দাপড়িয়ে বেড়াচ্ছে ।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেছেন, আমরা কলাগাছিয়াবাসী এতটাই দূর্ভাগা যে এতোদিন এক তেল চোরা দেলু মাতাল অবস্থায় আমাদের এলাকাবাসীকে চারিত্রিক সাটিফিকেট দিতেন আর এবার আরেক চোর যাকে সকলেই গ্যাস চোর হিসেবেই চিনেন সেই কাজিম উদ্দিন নির্বাচনে জয়লাভ করলে তার কাছ থেকেই এলাকার লোকজন চারিত্রিক সাটিফিকেট গ্রহণ করতে হবে । যাকে ইতিমধ্যেই আমাদের এমপি সেলিম ওসমান গাঞ্জটি বলে মন্তব্য করেছেন । আমাদের এই ইউনিয়নে কি কোন ভালো মানুষ নাই ? আামদের এলাকার জনপ্রতিনিধি হবেন তেলচোর অথবা গ্যাস চোর ! যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ষোলকলা পূর্ণ হবার ফিরিস্তি সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে । আমারা আসলেই দূর্ভাগা ।









Discussion about this post