এনএনইউ রিপোর্ট :
সন্ধ্যায় পুরো শহরে ছড়িয়ে পরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন খানসহ তার আরো তিন বন্ধু অপহরণের স্বীকার হয়েছে । কিছুক্ষন পর আবার খবর ছড়িয়ে পরে ডিবি পুলিশ তাদেরকে আটক করলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
তার ও কিচ্ছুক্ষনের রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমে অনুরোধ করে বার্তা দেন বিষয়টি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের জন্য মান সম্মানের বিষয় তাই সংবাদটি যেন প্রকাশ করা না হয় । বিস্তারিত না জানালেও শহরে এমন অপহরণের ঘটনা চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড়ের ঝড় উঠে ।
শেষ পর্যন্ত এমন তোলপাড়ের পর এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ নূরে আলম দাবি করেন, তারা এক জায়গায় বসে মদ্যপান করছিলো। পরে তাদের আটক করা হয়। এমন কাজ আর কখনো করবেনা এমন মুচলেকা দিলে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে পুলিশের অন্যান্য সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন খানকে মদসহ ৪ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। অন্যরা হলো, সপ্রব রায়,অনিক, তুহিন। সন্ধ্যায় শহরের চাষাড়া থেকে তাকে আটকের পর নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি অফিসে। তাদের কাছে পাওয়া যায় বিয়ার । দেড় ঘন্টা পর মুচলেকা দিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় পরিবারের কাছে।
এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে সারাদিন তিনি আদালত প্রাঙ্গনে ব্যস্ত সময় পাড় করেন। সন্ধ্যায় খবর পান তার একমাত্র ছেলেকে শহরের রামবাবুর পুকুর পাড়ে অবস্থিত বন্ধু সপ্রব রায়ের বাসা থেকে কে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে। তারা ছেলেকে উদ্ধারের জন্য তিনি পুলিশসহ বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেন। জানাজানি হয় বিষয়টি । শহরব্যাপী রাজনৈতিক রঙ ছড়িয়ে পড়ে।
সন্ধ্যায় ডিবি অফিস থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তা টেলিফোনে তাকে জানান,শাহরিয়ারকে তাদের হেফাজত থেকে নিয়ে যেতে। পরে খানপুরের বাসার সামনে গিয়ে দেখতে পান ডিবি সদস্যরা শাহরিয়ারকে নিয়ে অপেক্ষা করছে। সাখাওয়াতের কাছে শাহরিয়ারকে হস্তান্তর করে ডিবি পুলিশ চলে যায়।









Discussion about this post