নারায়ণগঞ্জে প্রায়ই দেখা যায় পুলিশের এমন চিত্র । নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে এমন ঘটনা ছাড়াও পুলিশের অনেক সদস্য নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এবং বাড়তি সুবিধা নিতে এমন কান্ড দেখানোর চিত্র অহরহ ই দেখা যায় ।
বৃহস্পতিবার ৩ ডিসেম্বর একই পন্থায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য কোমড়ে ওয়াকিটকি ও অস্ত্র নিয়ে শহরের বোস কেবিনের পিছনের টেবিলে বসে এক আতংকজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে । তাদের আচরণ দেখে অনেকেই বোস কেবিন থেকে বেড়িয়ে সমালোচনাও করেন ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠকে সাদা পোশাকে কোমরে পিস্তল ঝুলিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতির ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচিত।
জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর সোমবার রাতে ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খোরশেদের কার্যালয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া নিয়ে একটি পারিবারিক সালিসির আয়োজন করা হয়। সেখানে হঠাৎ করেই এসে উপস্থিত হন মিজানুর রহমান নামে পুলিশ কর্মকর্তা। সাদা পোশাকের ওই পুলিশ কর্মকর্তার কোমরে ঝুলছিল পিস্তল। তখন সালিশে আসা অনেকেই আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের ফেসবুকে পেজে ওই পুলিশ কর্মকর্তার ছবি পোস্ট করা হয়। তবে তিনি এ বিষয়ে এখন কথা বলতে রাজী হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে ফোন করে পারিবারিক সালিশে প্রকাশ্যে কোমরে পিস্তল নিয়ে উপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
অস্ত্র নিয়ে সালিশে পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার নাসির আহমেদ বলেন, ‘সিআইডি সাদা পোশাকেই থাকে। তবে পারিবারিক কোনো বিচার সালিশে ওইভাবে (কোমরে পিস্তল নিয়ে) কেউ যেতে পারে না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি বিষয়টি।’









Discussion about this post