নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে বলে র্যাব-১১ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যম গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। র্যাব ১১ এর এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাড়াসী অসংখ্য ঘটনায় সাধুবাদ জানিয়েছে নগরবাসী ।
অথচ নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খান সড়কে র্যাব কার্য্যালয়ের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ সোহলেসহ তার অনুসারীরা।
১৩ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাত টার দিকে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের সরকারি গণগ্রন্থাগার, র্যাব কার্যালয়সহ জেলা শহরের মসজিদ, বাজার ও আইনজীবীদের অসংখ্য দপ্তরের এমন ব্যস্ততম এলাকায় চাঁদাবাজিকালে গ্রেফতার হয় দূর্ধর্ষ চাঁদাবাজ সেহেলের অনুসারী আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস (৩০)। শহরের এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রকাশ্যে সোহেলের চাঁদা আদায়কারীকে গ্রেফতার এবং সোহেলের বিরুদ্ধে র্যাবের মামলা দায়েরের পর পালিয়ে যায় চিহ্নিত এমন অপরাধীরা ।
র্যাবের সাড়াসী অভিযানের এক মাস অবিবাহিত হতে না হেতেই ফের পুরোদমে বীরদর্পে চাঁদাবাজি চালিয়ে সোহেল ।

গত কয়েকদিন ব্যাপক অনুসন্ধ্যানে আরো খোজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে তারে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে এমন চাঁদাবাজি করছে বলেও বীরদর্পে হকারদের কাছে মন্তব্য করছে সোহেল । একই সাথে র্যাবের সাথে সম্পর্ক ভালো হয়েছে বলেও প্রচার চালিয়ে সোহেল চাঁদাবাজির রাম রাজত্ব অবিরাম অব্যাহত রেখেছে। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের এক নেতাকে নিয়মিত মোটা অংকের টাকা দিতে হয় বলেও জানায় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক চাঁদা প্রদানকারী কয়েকজন হকার ।
এমন অসংখ্য চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযানের ধারাবাহিকতায় বুধবার ১২ মে রাত সোয়া ৮ টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৮শত ৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম শামীম।
বৃহস্পতিবার ১৩ মে র্যাব-১১ এর সিনিঃ এএসপি প্রণব কুমার ( সিপিএসসি, আদমজীনগর) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, একটি চাঁদাবাজ চক্র নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহনের চালক ও হেলপারদের গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক পরিবহন প্রতি দৈনিক ৫০/- থেকে ১০০/- টাকা করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজি করার সময় শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
চাঁদাবাজ সোহেলের বিরুদ্ধে র্যাবের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক নূরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, সোহেল চাঁদাবাজি মামলায় জামন নিয়েছে । এই মামলায় চার্জসীট দেবা। থানারে ওসি সাহেবকে মাসোয়ারা দেয় এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে ।
নারায়ণগঞ্জের এমন চাঁদাবাজির ও থানা পুলিশের নাম ব্যবহার করে সোহেলের প্রকাশ্যে অপরাধের বিষয়ে সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই অপরাধীরা এতো সাহস কই পায় ? থানায় তারা টাকা দেয় এটি ডাহা মিথ্যে । তাকে আবার হাতেনাতে ধরেই এবার মামলা দেবো ।









Discussion about this post