সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েব চলছে । এমন পরিস্থিতিতে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বন্ধকৃত তাজ জুট মিল মাঠে মেলা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে একটি চিহ্নিত অপরাধী চক্র। যাদের বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে । অপরাধী চক্রটি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মেলা বসানোর পায়তারা করছে। যদিও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেছেন মেলা বসানোর প্রশাসনিক কোন অনুমতি নেই। কিন্তু তারপরও রহস্যজনকভাবে মেলার সরঞ্জাম মাঠে আনা হয়েছে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে মেলার কিছু সরঞ্জাম মাঠে দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার অনেকে। তাদের মতে, সরকার কমলমতি বাচ্চাদের বাসায় রাখতে গত বছরের মার্চ মাস থেকে সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। সেখানে মেলা শুরু হলে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটবে মেলায়। আর মেলা দেখতে ছুটে আসবে কমলমতি বাচ্চারাও। এতে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। ফলে অভিভাবক মহলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কোনভাবেই যাতে মেলা না বসে এই জন্য তারা জেলা পুলিশ সুপার মো: জায়েদুল আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, শিমরাইল এলাকার মনির হোসেন, নজরুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম এই মেলার আয়োজক। এরমধ্যে মনির হোসেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি ও মাদক সেবক। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা থানায় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০ থেকে ১১টি মামলা রয়েছে । জহিরুল ইসলাম পরিবহনে চাঁদাবাজি করার সময় হাতে নাতে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সে নিজেও মাদকসেবক। তাকেও চোরাই প্রাইভেটকারসহ র্যাব-১১ এর সহকারি পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন আটক করেছিল। মোটকথা একটি অপরাধী চক্র মেলার নামে অপকর্ম চালিয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার মিশনে নেমেছে। তাদের সাথে নেপথ্যে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা ও প্রশাসনের কতিপয় অফিসার। বিনিময়ে তারাও অবৈধ আয়ের বাটোয়ার অংশিদার হবেন।
এদিকে মেলার আয়োজন দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে জানান, একটি জনবহুল আবাসিক এলাকায় করোনা পরিস্থিতিতে মেলার আয়োজন কতটা যুক্তিযুক্ত এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এই মেলার কারণে একদিকে ছেলে-মেয়ের লেখা-পড়া ব্যাঘাত ঘটবে অন্যদিকে মেলার মাইকের শব্দে আশপাশের মানুষ চরমভাবে শব্দ দূষনে ভুগবে। তার উপর সবচেয়ে বড় কথা হলো করোনা পরিস্থিতিতে মেলায় বহু মানুষের সমগম ঘটবে। এতে করোনার সংক্রামন ছাড়ানোর আশংকা রয়েছে। তাই আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে এই সময়ে এখানে মেলা না হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানান, কালকে বিনা অনুমতিতে বাঁশ ও সরঞ্জামাদি নিয়ে এসেছিলো অনুমতি ছাড়া । আমরা তাদেরকে মেলা না করা নির্দেশ দিয়েছি । আবারো এমন মেলার পায়তারা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।









Discussion about this post