সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিনপাড়ার কাজিম আলী ভূঁইয়ার পুত্র আমিনুল হক রাজুর বিরুদ্ধে রয়েছে সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। গত তিন বছর আগে বিলুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য হয়েও নিজেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে নানা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচলনা করে আসছে। এলাকাবাসীর জানায়, তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনি।
এলাকাবাসী জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের অন্যতম কারণ ছিল শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার। আমিনুল হক রাজু ছিলেন নূর হোসেনের অন্যতম ক্যাডার। নূর হোসেনের সিএন্ডবি নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের সকল ঠিকাদারি তদারকি করত রাজু । সে সুবাধে রাজু কন্ট্রাকটর হয়ে কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। সাত খুনের পর নূর হোসেন পালিয়ে গেলে তার সাথে আমিনুল হক রাজু গা ঢাকা দেন। সাত খুনের মামলার আসামীর চার্জশীট থেকে অব্যাহতি পেয়ে রাজু এলাকায় ফিরে এসে নুর হেসেনের ফেলে যাওয়া সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি (২৩ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে মিজমিজি দক্ষিনপাড়া আমজাদ মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো: সাইদ এবং নয়ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করতে গেলে রাজু বাহিনীর ৪ ক্যাডার তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ছাড়া ঠিক সময়ে চাঁদা না দিলে তারা এ এলাকায় ব্যবসা করতে পারবে না এমন হুমকী দেয় রাজু বাহিনী।
তাছাড়া আমিনুল হক রাজু জালকুড়ি ক্যানেল রোডে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার বদরউদ্দীন বদর কাছেও মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে তাকে মারধর করে । এ ঘটনায় পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রাজুর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এছাড়া স্থানীয় হাজী আজগর আলীর ওয়ারিশদের মালিকানাধীন সম্পত্তিসহ হাজী আজগর আলী ওয়াকফ্ এষ্টেটের সম্পত্ত্বিতে সম্পুর্ণ বে আইনি ভাবে সাইন বোর্ড লাগিয়েছে রাজু ও তার বাহিনী। এ বিষয় ওয়াকিফ এর নাতি আব্দুল মতিন ওয়াকফ্ প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়াকফ্ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। শাস্তি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপসহ ওয়াকিফের ওয়ারিশদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিসহ হয়রানি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান ওয়াকিফের নাতি আব্দুল মতিন জানান।
প্রসঙ্গত, আমিনুল হক রাজু মিতালি মার্কেটে চাঁদাবাজি, সিদ্ধিরগঞ্জ ট্যাক্সি ষ্টান্ডে চাঁদাবাজির মামলাসহ বহু মামলার আসামি। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশের তালিকা ভুক্ত হেরোইন সম্রাট বাদলের মেয়ের জামাতা হওয়ার সুবাধে উক্ত রাজুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার কথাও জানা যায়।









Discussion about this post