নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) এবং এসআই কাজল মজুমদারের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির সদস্য মোঃ দুলাল শেখ এ আবেদনটি করেন যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর।
এতে পুলিশের সহায়তায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালী মার্কেটের ট্রেড ইউনিয়নের অফিস দখলের চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরে অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনার পর থেকে মার্কেটে পুলিশ পহারায় রয়েছে। বৈধ কমিটির লোকজনকে ঐ মার্কেটে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুকের মদদে প্রকাশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) কাজল মজুমদারের উপস্থিতে ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার সময় জয়নাল আবেদিন ফারুক ও জামান মিয়া, নাজিম উদ্দিন নাজুসহ আরো কয়েকজন ও বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়া আমাদের মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির ট্রেড ইউনিয়নের অফিসে হামলা করে ভাংচুরসহ নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজ দলিলপত্র লুট করে নেয়।
যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ঐ আবেদনে।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, মার্কেটের সভাপতি (সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক) হাজী মোঃ ইয়াছিন মিয়া ঘটনার সংবাদ পেয়ে মোবাইলে ওসি কামরুল ফারুকের সাথে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চান।
তবে ওসি দেখছি, দেখবো বলে কোন প্রকার সহযোগিতা করে নাই এবং পরে ঐ মার্কেটের সভাপতি সার্কেল অফিসারের কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
ঘটনার পরে আমাদের কমিটির খোকন আহমেদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও তা আমলে নিতে গড়িমশি করতে থাকেন ওসি।
ঘটনার রাত আনুমানিক ১০টায় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক বাবুল মিয়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করলে ওসি কামরুল ফারুক হামলাকারীদের পক্ষে মীমাংশা করার চাপ দিতে থাকে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তাদের অভিযোগটি ওসি কামরুল ফারুক মামলা হিসাবে না নিয়ে হামলাকারীদের পক্ষে একটি মামলায় (নং-১০ তাং- ৯-৯-২০ইং) আমাদের কর্মকতা ও কিছু সদস্যদের আসামি করে।
ওসি কামরুল ফারুকের যোগসাজসে অন্যায় ও অনৈতিক ভাবে মদদ প্রদানসহ হামলাকারীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির হস্তক্ষেপ এবং মার্কেটের ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের আবেদন করা হয় ঐ পত্রে।
প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর পুলিশের উপস্থিতিতেই সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালী মার্কেটে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই থেকে মার্কেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মার্কেট কমিটির নের্তৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, তাদের বৈধ কমিটি হওয়া সত্বেও পুলিশ তাদেরকে মার্কেট কমিটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে দিচ্ছেন না।









Discussion about this post