কথায় আছে চোরে না শুনে ধর্মের বাণী । এমনটাই প্রমাণ করেছে নারায়ণগঞ্জের কুক্ষাত সূতা চোরদের সর্দার আমিন উদ্দিন ও তার চক্রের সদস্যরা । এখনো চলছে চোরাই কারবারীদের দৌড়াত্ম
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
পুলিশের পৃথক দুটি মামলা ও কাস্টমস বন্ডের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সাড়াসী অভিযারের কারণে যেখানে সাধারণ সূতা ব্যবসায়ীরাও চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে সেক্ষেত্রে সূতা চোরদের সর্দার আমিন উদ্দিনের ভাগিনা রায়হান ও ভাতিজা আনোয়ার মিলিতভাবে কয়েক কোট টাকার চোরাই সূতা সোমাবার দিবাগত ভোররাতে (৩১ ডিসেম্বর) গোদামজাত করেছে ।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশের দুটি গাড়ী দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা পাহাড়া দিয়ে চোরাই সূতা গোদাম জাত করেছে বলে জানিয়েছে টানবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী । শহরের টানবাজার এলাকার সেনের গল্লীর মিতা বিল্ডিংয়ের গোবিন্দের গোডাউনে এমন চোরাই সূতা নামানোর দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে উঠে এলাকার অনেকেই ।
এদের মধ্যে অন্যতম সূতা ইয়ার্ন মাচেন্টের নেতা সেলিম রেজা, সাবেক নেতা আবদুল মান্নান, হাজী বিল্লাল, হাজী ইসমাইল, ফরহাদ, সুব্রত রায়, বিপুল মন্ডল, পুলক চৌধুরী, জহির হোসেন, মো. আওলাদ হোসেন, আমিন উদ্দিন, গোবিন্দ সাহা, নজরুল ইসলাম, ফরহাদ, আইয়ুব আলী, মোঃ সেলিম, সমির সাহা ও রুহুল আমিন এবং তাদের সহযোগি (যাদের নাম মামলায় অন্তভূক্ত করা হয় নাই ) আমিন উদ্দিনের ভাগিনা রায়হান, ভাতিজা গজারিয়া ট্রেডিং, আরেক ভাতিজা আনোয়ার বেপারী, বিপুল মন্ডলসহ আরো কয়েকজন মামলার কারণে পলাতক থেকেও চোরাই কারবার অব্যাহতভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে বিরামহীনভাবে।
নারায়ণগঞ্জের চোরাই সূতার কারবার করে দায়েরকৃত মামলার ২০ আসামী ছাড়াও শহরের টানবাজার নয়ামাটি এলাকার আরো কয়েকজন চোরাই কারবারী শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন সরকারের বিশাল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, এক সময়ের টানবাজার পতিতাপল্লীর দালাল থেকে সূতার দালালী করে অনেকেই স্বাবলম্বী হলেও চোরাই সূতার কারবার করে তোতা মিয়া, শ্যালক দবির উদ্দিন, পুত্র মামুন, সোনা মিয়াসহ তার পরিবারের সদস্যরা এবং উল্লেখিত মামলার আসামীরা নিয়মিত চোরাই সূতার কারবার চালিয়ে যাচ্ছেই ।
পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের ধারাবাহিকভাবে মোটা অংকের টাাকয় ম্যানেজ করে এক সময়ের দালাল সেলিম রেজা, মান্নান, আমিন উদ্দিন, তোতা মিয়া সোনা মিয়া, দবির উদ্দিনসহ পুরো চোরাই চক্র সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একেকজন চোরাই কারবারী একাধিক বাড়ী, গাড়ী, একাধিক নারী নিয়ে নারা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে । সম্প্রতি চোরাই কারবারী আবদুল মান্নানের নারী কেলেংকারী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর টানবাজার, মাসদাইর ও সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যাপক তোলপাড়ের ঝড় উঠে ।
এতো সাড়াসী অভিযান, সর্বত্র ব্যাপক সমালোচনার পরও এই চোরাই কারবারী চক্রটি এখনো রয়েছে বহাল তবিয়্যতে ।
এমন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অপারেশন ইন্সপেক্টর আবদুল হাই (যিনি চোরাই সূতা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা) নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন , শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে । এই মামলায় পুলিশ আসামীদের ধরতে সাড়াসী অভিযান চালাচ্ছে । মামলায় যিনি দোষী হবেন তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ সদা প্রস্তুত রয়েছে । সেই মোতাবেক কাজ চলছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে । তবে কে বা কারা সূতা আবার অবৈধভাবে গোদামজাত করেছে তা আমাদের জানা নাই ।









Discussion about this post