ক্রসফায়ারে নিহত দুর্ধর্ষ অপরাধী আহাদের অন্যতম চাঁদা আদায়কারী, পারিবারিকভাবে নানা অপরাধের হোতা এবং ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতি করে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বাড়ি-গাড়ি ও সম্পদের পাহাড় পাচারের পর শহরের অনেকের অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো মহাধূর্ত সজল রায়।
করোনার কারণে দেশত্যাগ করতে না পেরে আটকে যায় সজল রায়। আর এই সময়েই বেড়িয়ে আসে মহা প্রতারক সজল রায়ের প্রতারণার সকল তথ্য ।
( মহাধুর্ত এই প্রতারকের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে সহায়তা করেছেন শহরের অনেকেই। যার প্রমাণ সংরক্ষণে রয়েছে )
আর এমন ভয়ংকর প্রতারণার তথ্য জানতে পেরে নারায়ণগঞ্জের একটি এলিট শ্রেণির ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সাবেক সদস্য সজল কুমার রায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বাংলাদেশ হোসিয়ারি এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ‘ক’ অঞ্চল আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল।
মামলায় নাজমুল আলম সজল উল্ল্যেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকার স্বর্ণ কমল রায়ের ছেলে বিবাদী সজল কুমার রায়ের সঙ্গে নাজমুল আলম সজলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কে বিবাদীর কাছ থেকে ১ কোটি টাকা পাওনা হয় নাজমুল আলম সজল। সেই টাকা পরিশোধে গত ১৪ জুন সজল রায় একটি চেক প্রদান করেন। চেকটি ১৫ জুন প্রত্যাখ্যাত হয়।
পরবর্তীতে গত ২৫ জুন বিবাদীকে ৩০ দিনের সময় দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় । যা বিবাদী ফেরত পাঠান । বিবাদী সজল রায় তার হিসাবে টাকা না থাকা সত্ত্বেও ১ কোটি টাকার চেক প্রদান করেন। যা এনআই এ্যাক্টে ১৩৮ ধারায় অপরাধ।
মামলায় বাদী সহ আরও দুইজনকে স্বাক্ষী দেখানো হয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহাবুব নূর রশীদ।
এমন ঘটনায় শহরের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই সজল কুমার রায়ের সাথে শাসক দলের অনেক নেতা, শহরের প্রভাবশালী অনেকের সখ্যতার ছবি তুলে প্রচার চালিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো সজল রায় । দামী গাড়ি নিয়ে দাপড়িয়ে বেড়ানো সজল রায় শহরবাসীর অনেকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে ভারতে পাচার করেছে বলে অনেকেই তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন । যে কোন সময় মহাধুর্ত প্রতারক সজল রায় চোরাই পথে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ ।









Discussion about this post