সোনারগাঁ প্রতিনিধি :
সোনারগাঁ উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিপর্দী এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য ফসলি জমি খাল-বিলে অবাদে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে সোনারগাঁয়ের আশপাশ এলাকার কয়েক কিলোমিটার জুড়ে পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপর্য দেখা দিয়েছে।
শিল্পকারখানাটি উৎপাদিত সুতা তৈরী ও রং করার তরল বর্জ্য নিষ্কাষণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় বিষাক্ত বর্জ্যের পানি খালের পানিকে বিষাক্ত করে ফেলছে । যার ফলে নানা রকম রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পরছে। ২০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিট লিঃ শিল্পকারখানাটি সুতা তৈরি ও সুতা রং করার জন্য গত ২০০৬ সাল থেকে উৎপাদন শুরু করে তাদের অবৈধ ভাবে বর্জ্য পানি বিভিন্ন খালে ও নদীতে ফেলে নদী ও খাল দুষিত করছে ।
এ প্রতিষ্ঠিানে বর্জ্য নিষ্কাশণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদিত সুতা তৈরি ও সুতার রং করার তরল বর্জ্য মারিখালি নদীর সংযোগ খালের পানিতে বিষাক্ত করে ফেলছে। ফলে এলাকার পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে। কারখানা থেকে বের করে দেওয়া বর্জ্য খালের পানিকে বিষক্রিয়া করে। ফলে মোগরাপাড়া, বাড়ি মজলিশ, গোহাট্টা, ফুলবাড়িয়া, ষোলপাড়া, দমদমা, কাবিলগঞ্জ, দলদার, লেবুছাড়া, ভাটিপাড়া, বিন্নিপাড়া ও পৌর এলাকার মল্লিকেরপাড়া, টিপরদি, রতনদি, গোয়ালদিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এ বিষাক্ত পানি ব্যবহার করার ফলে এলাকার মানুষের বিভিন্ন প্রকারের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছে। শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খাল ছেড়ে দেয়ায় পানি থেকে চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে এলাকার কয়েকশত মানুষ।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী স্থাণীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বার বার অভিযোগ করেও কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাষণ বন্ধ করতে পারেনি। পানি শোধনাঘার থাকলেও বন্ধ রাখা হয়। যার ফলে কোম্পানির মাসে কোটি টাকার খরচ বেঁচে যায় । লাভ হয় প্রচুর। প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে এ সমস্ত অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে চৈতি কোম্পানি। রাতের আধারে খালে ছেড়ে দেওয়া হয় ময়লা যুক্ত বর্জ্য পানি।
গত ২০০৮সালের ৪মার্চ পরিবেশ দুষণ হওয়ার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও যৌথবাহিনী কারখানার সিল গালা করে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় ।
ইটিটিবি প্লাান থাকলেও বন্ধ রাখে সেটি কর্তৃপক্ষ। এলাবাসী কয়েকদফা মানববন্ধন করেও পাচ্ছে না কোন প্রতিকার। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভুগি এলাকাবাসী।









Discussion about this post