ফিঙ্গার প্রিন্ট আর নিহতের পকেটে থাকা ব্লাংক চেকের সূত্র ধরেই শনাক্ত হলো ইজিবাইক থেকে ফেলে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয়। নিহত সেই ব্যক্তির নাম এহসান দুলাল। তিনি এয়ারটেল অফিসে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (৩০ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইঘর এলাকায় ইজিবাইক থেকে ধাক্কা দিয়ে স্বামীকে ফেলে দেয় এক নারী। এরপর থেকে সে পলাতক। পুলিশ নিহত ব্যক্তির পকেটে ইসলামী ব্যাংকের একটি ব্ল্যাংক চেক থেকে নিশ্চিত হয় তার নাম এহসান দুলাল। তার বাবার নাম হাফিজ রাঢ়ী। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানা এলাকায়।
নিহত যুবকের পিতার বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান বলেন, নিহত এহসান দুলাল গত একদিন পূর্বে গ্রামের বাড়ী থেকে ফতুল্লায় তার কর্মস্থলে আসে। সে গত এক মাস পূর্বে গ্রামের বাড়ীতে দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়। এর আগেও সে একটি বিয়ে করেছিলো। সেই প্রথম স্ত্রী নিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে বিচার- শালিসসহ থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। নিহত যুবক এহসান দুলালের স্ত্রী নারায়ণগঞ্জের কোথাও কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে বলে তিনি জানান। গ্রামের বাড়ী থেকে নিহতের বাবা আসছেন। তারা আসলেই বিস্তারিত জানা যাবে।
পরিচয় শনাক্তের বিষয়ে তিনি বলেন, নিহত যুবকের পকেটে ফতুল্লা পঞ্চবটী শাখার ইসলামী ব্যাংকের একটি ব্লাংক চেক উদ্ধার করা হয়। সেই চেকের সূত্র ধরে রাতেই ইসলামী ব্যাংকের কমকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তার গ্রামের বাড়ী এবং বাবার নাম নিশ্চিত হয়ে সেখানে যোগাযোগ করা হয়। পরে সকালে নিহতের সাথে কাজ করা তার সহকর্মীরা এহসান দুলালের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৩০ মে রোববার রাত ১০ টার দিকে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা শিবু মার্কেট থেকে তার ইজিবাইকে যাত্রী হয়ে উঠে। পথিমধ্যে তারা একে অপরের মধ্যে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এসময় মহিলাটিকে পুরুষ কে উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা যায় যে, ”তুমি আরেকটি বিয়ে করেছো কেনো। ঐ মহিলার কাছ এমন কি আছে যা আমার নিকট নেই ।“ মূলত এ কথা কাটাকাটি নিয়েই তাদের সাথে ইজি বাইকে জগড়া হয়। এক পর্যায়ে ঝগড়া হাতাহাতির পর্যায়ে পৌছালে ইজিবাইক চালক তাদের কে বাধা প্রধান সহ নামিয়ে দেয়ারও কথা বলে। ইজিবাইক চলন্ত অবস্থার এক পর্যায়ে ভুইঘর কড়ই তলা পৌছামাত্র মহিলাটি ধাক্কা মেরে পুরুষটি কে রাস্তায় ফেলে দেয়। এ সময় পেছন থেকে আসা চলন্ত একটি কভার্ডভ্যান পুরুষটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কভার ভ্যান আটক করতে পারলেও গাড়ীটির চালক ও কথিত স্ত্রী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সেই নারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের বাবা থানায় এসে লিখিত দিলে তা এজাহার হিসেবে গণ্য করা হবে। সেই পর্যন্ত লাশ মর্গে রয়েছে ।









Discussion about this post