ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ মো. সোহেল হত্যাকান্ডের ১১ বছর অতিবাহিত হলেও বিচার কার্য দেখেনি আলোর মুখ। নিহতের স্বজনেরা প্রতিনিয়ত ঘুরছে আাদালতের বারান্দায়।
অপরদিকে ঘাতকরা প্রকাশ্যে ঘুরে ফিরছে বলে অভিযোগ নিহত সোহেলের স্বজনদের। শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা সোহেল হত্যা মামলা সাক্ষীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ মামলার ঘটনায় স্বাক্ষ্য না দিতেও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক সাংসদ সাহারা বেগম কবরীর আশীর্বাদপুষ্ট বাহিনীর সন্ত্রাসী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, জনি, মমিন, রনি, সেন্টু, কানা সুমন, ফুয়াদ, ডাকাত খেলাফত, আবুল, ডাকাত, ডাকাত তুজু, বিসিক আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল, মির্জা পাভেল সহ প্রায় ৩০/৩৫জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শেখ মোঃ সোহেলকে ২০১০ সালের ১৯ মার্চ শুক্রবার দুপুরে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
ওই সময়ে ঘাতকচক্র নিহত সোহেলের সহোযোগী জসিমকে কুপিয়ে মৃত ভেবে রক্তাক্ত দেহ ম্যানহোলে ফেলে যায়। নিহত সোহেল কবরীর ক্যাডারদের এলাকায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলেই তাকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়।
এই হত্যাকান্ডের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান নিহত সোহেলের জানাযা নামাজে অংশ নিতে গিয়ে প্রকাশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, হত্যাকারীদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে সোহেল হ্যাকান্ডের ১১ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সুষ্ঠু বিচার পায়নি তার স্বজনরা।
সোহেল হত্যাকান্ডের ১১ বছর পূর্তিতে শুক্রবার (১১ মার্চ) নিহতদের স্বজন ও শুভাকাংক্ষিরা ফতুল্লার তক্কার মাঠ স্টেডিয়াম চৌরাস্তায় এবং বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও কাঙালী ভোজের আয়োজন করে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী, জসিম, পিন্টু, তোফাজ্জল হোসেন তোফা ও সোহেলের ছোট ভাই জুয়েল সহ নিহত সোহেলের স্বজনেরা।









Discussion about this post