বৃহস্পতিবার বিকালে চর রজমজান সোনাউল্লা এলাকায় ওই অভিযান চালান সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম।
অভিযান চলাকালে ওই জমিতে অবৈধভাবে রাখা কয়লা, বালু, পাথরসহ টিন শেডের গুদাম ভেঙে ‘সরকারি সম্পত্তির’ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
এই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত রোববার বিকালে উচ্ছেদ অভিযান করে তিন দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও আতিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ বিঘা জমিতে রাখা কয়লা, পাথর, বালুসহ যেসব অবৈধ টিন শেডের স্থাপনা ছিল তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরপর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়।
“এই সরকারি সম্পতি এখন পুরোপুরি সরকারের দখলে রয়েছে।”
তিনি জানান, ওই জমির জন্য ২০১৮ সালে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিলেন সাংসদ হাজি সেলিম। তার সেই আবেদন জেলা প্রশাসন গ্রহণ করেনি।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের পর তিনি ধানমণ্ডি থানায় হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পরদিন পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবী দাস লেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই অভিযানে হাজী সেলিমের বাড়ি তল্লাশি করে মদ ও ওয়াকিটকি পাওয়ায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফান ও জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়।
এছাড়া, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে ২৮ অক্টোবর অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করেছে র্যাব। ইরফানের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের বিরুদ্ধেও পৃথক দুটি মামলা হয়।









Discussion about this post