রবিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সকল সরকারের শাসনামলের শাসক দলের নেতা সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্টিকারযুক্ত গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় দাঁত ভেঙ্গে ফেলে রক্তাক্ত যখম করে । ঘটনার সময় লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানের স্ত্রীকের লাঞ্চিত করে হাজী সেলিমের পুত্র ও তার বাহিনী ।
এমন ঘটনায় ভিডিও প্রকাশ হলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় সারা দেশ জুড়ে। পুরান ঢাকার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যাকে গ্রেফতার করা হলে চিকিৎসার নাম করে গাঢাকা দেয় ক্ষামতাসীন হাজী সেলিম । হাজী সেলিম যেমন রাজধানী ঢাকার প্রভাবশালী এমপি ঠিক তেমনি পুত্র ইরফান সেলিম একই এলাকার কাউন্সিলর । ইরফান সেলিমের শ্বশুর একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর সংসদ সদস্য, আর শ্বাশুড়ী নেয়াখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান ।
এতো ক্ষমতার দাপট এক নিমিশেই চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় প্রভাবশালী হাজী সেলিম ও তার পরিবারের অপরাধের ফিরিস্তি। একের পর এক অপরাধের তালিকায় উঠে আসে নারায়ণগঞ্জে পাগলা এলাকার বিশাল ব্যবসা চাড়াও সোনারগাঁ উপজেলায় ১৪ একর জমি দখলের চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
গণমাধ্যম কর্মীরা ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার কোনকর্মকর্তারাই হাজী সেলিমের এমন বিশাল অপরাদের ফিরিস্তি প্রকাশ করতে চান নাই নানা কারণে । কেউ বা সুবিধা আবার কেউ বা প্রাণের ভয়ে মুখ খলেতেও সাহস করে নাই । দীর্ঘদিন পর হাজী সেলিমের কালো থাবা থেকে সরকারী এই বিশাল সম্পদ উদ্ধার করলো নারায়ণগহ্জ জেলা প্রশাসন । তাও আবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর । তাহলে কি এতোদিন সকল প্রশাসন ভেরেন্ডা ভেজেছেন ? এমন প্রশ্ন স্থানীয় অনেকের
বিশেষ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় হাজী সেলিমের মালিকানাধীন মদিনা গ্রুপের নামে দখলকৃত ১৪ বিঘা জমি দখলমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
১ নভেম্বর (রোববার) বিকেলে উপজেলার মেঘনাঘাট এলাকায় হাজী সেলিমের দখলকৃত জায়গায় অভিযান চালায় সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে লাইভ নারায়ণগঞ্জকে সোনারগাঁও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন বলেন, মদিনা গ্রুপের অবৈধ যতগুলো স্থাপনা ছিল সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি ।
সিমেন্ট ফ্যাক্টরির দু’পাশে একটায় আছে ২.১১ একর, আরেকটায় ১.৮ একর, টোল প্লাজার ডান পাশে ১.২০ একর, এই মোট ৪.৩৯ একর যা প্রায় ১৪ বিঘার সমতূল্য।
সম্পূর্ণ জায়গাটিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। এদের মধ্যে দুইটা জায়গা ফাঁকা। যেখানে ২.১১ একর রয়েছে সেখানে ৩ টা স্থাপনা ভেঙ্গেছি, বাকি একটা শক্তিশালী সেটা ভাঙ্গতে ভেকুতে সমস্যা হওয়ায় এবং সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেই।
বাকি যে স্থাপনাগুলো রয়েছে সেগুলোকে আমরা ৩ দিনের মধ্যে উনাদের অপসারণ করতে বলেছি, না করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো । উল্লেখ্য, হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম গ্রেপ্তারের পর থেকেই এ পরিবারটির নানা কর্মকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রতিদিনই উঠে আসছে গণমাধ্যমে। বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানে জমি দখলের সংবাদ গুলো বেশ বড় আকারেই আসছে। হাজি সেলিমের সেই জমি দখলের থাবা থেকে বাদ যায়নি নারায়ণগঞ্জ।
সোনারগাঁ উপজেলার খাসজমি হাজী সেলিম দখল করে রেখেছে এমনই তথ্য গণমাধ্যমে বেড়িয়ে আসলে প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়।









Discussion about this post