নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের হেডাম দেখতে চাওয়া জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি এবার সরকারী দলের নেতাকর্মীদের হাত ভেঙ্গে ভারতে পাঠিয়ে দেবার হুমকী দিয়েছেন।
শামীম ওসমানের হেডাম ও নেতাকর্মীদের তা ভেঙ্গে ভারতে পাঠিয়ে দেবার মতো দুঃসাহসীক মন্তব্য করার পেছনে নারায়ণগঞ্জের সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত নেতাকর্মীরা।
তবে কেউ কেউ মনে করেন রনির নিকটাত্মীয় মামাতো- ফুপাতো ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাফেল প্রধান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদ প্রধানের যোগসাজশেই রনি এ রকম দুঃসাহসীকতা দেখিয়ে যাচ্ছে। রনির সাথে তার মামাতো- ফুফাতো ভাইয়ের গোপন সম্পর্কের বিষয়টি গোপন কিছু নয়। মাঝে মাঝে তারা লোক দেখানো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাক বিতন্ডতায় জড়ায় শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিশেষ করে শামীম ওসমানের তনয় অয়ন ওসমানের মনোরঞ্জনের জন্য এমন মন্তব্য খোদ আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের।
উল্লেখ্য যে, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) দুপুরে শহরের মাসদাইর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে মিছিলটি চাষাঢ়া কলেজ রোড এলাকা গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান রনি।
বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, হতদরিদ্র ও গরিব দু:খী দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ চলাকালীন সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের উপর ছাত্রলীগ যে হামলা করেছে আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এছাড়াও জেলা ছাত্রদল নেতা রনি হুশিয়ার করে বলেন, আপনারা যদি আঙুল বাঁকা করতে পারেন তাহলে আমরা আঙুল সোজা করতেও পারি। আর যদি কখনও কোন ছাত্র নেতাদের উপর হাত তোলা হয়, তাহলে সেই হাত ভেঙ্গে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নিবাচনের পূর্বে রনি তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে শামীম ওসমানের হেডাম দেখতে একটি পোস্ট করেছিলেন। যা সে সময় গোটা নারায়নগঞ্জে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলো। প্রচার রয়েছে যে সেসময় রনির জামিনের বিষয়ে রাফেল এবং রিয়াদ তিন লাখ টাকা প্রদান করেছিলো রনির পরিবারকে।
Discussion about this post