নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌর এলাকার নোয়াপাড়া থেকে শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত যুবতীর লাশ উদঘাটনের পর নানাভাবে ঘটনা দামাচাপা দিতে ব্যাপক চেষ্টা চালালোর অভিযোগ উঠেছে ।
একই সাথে এমন এ ঘটনায় পুলিশের পিবিআই এর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী, ইন্সপেক্টর খন্দকার জহির উদ্দিন আহমেদ এবং উপ পরিদর্শক টিপুর নেতৃত্বে একটি টিম অজ্ঞাত মৃত নারীর পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন ।
এ বিষয়ে পিবিআই এর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানান, অজ্ঞাত নামা মৃত নারীর নাম নাসরিন বেগম । পিতা আবদুল রহিম, মাতা : নাসিমা বেগম, স্বামী জাকির হোসেন, ঠিকানা : হোল্ডিং ১৪৫, রাস্তা ৯৯৯, ওয়ার্ড নং ৩৪, কোতোয়ালী থানা,ঢাকা ১১০০।
এ বিষয়ে পিবিআই এর ইন্সপেক্টর খন্দকার জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা তার ঠিকানা উদঘাটন করতে পেরেছি । বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে ।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলারেল হাসপাতালের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান, নিহত নারীর কোন স্বজন এখনো হাসপাতালে আসে নাই । তবে রূপগঞ্জ থানা থেকে বলা হয়েছে লাশ নিতে পরিবার আসবে । ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে । প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকান্ড । ধর্ষনের বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ কোন আবেদন করে নাই । তাই ধর্ষনের কোন আলামত রাখা হয় নাই ।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান বলেন, অজ্ঞাত নারীর লাশের সুরৎহালে ধর্ষনের আলামতের বিষয়ে পুলিশ কোন আবেদন করে নাই । যার কারণে আমরা এ বিষয়টি নজরে আনি নাই ।
উল্লেখ্য রূপগঞ্জ থানা এলাকার নোয়াপাড়া থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগি হিসেবে পরিচিত এলাকার বখাটে অসংখ্য মামলার আসামী জাকির হোসেন, বাচ্চু, হাবিব, বাবুলসহ কয়েকজন অজ্ঞাত যুবতীর লাশ তারাবো এলাকায় নিয়ে আনার পর রূপগঞ্জ থানার দারোগা নূরুজ্জামানের নজরে আসলে অজ্ঞাত নারীর লাশ বখাটে যুবকদের কাছে হস্তান্তরের জন্য তদ্বির চালায় কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন । মুঠোফোনে কাউন্সিলর ও দারোগার কথাকাটাকাটির পর কাউন্সিলর নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পালিয়ে যায় জাকির, বাবুল, বাচ্চু, হাবিবসহ বখাটে ১০/১৫ যুবক ।









Discussion about this post