শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষার পর সোমবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের পর বেড়িয়ে আসছে লাশ
রোববার সন্দ্যা সোয়া ৬ টায় (৪ এপ্রিল) লঞ্চটি দূর্ঘটনার পর ব্যাপক তল্লাসী শেষে সোমবার দুপর সোয়া ১২টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় । লঞ্চ উদ্ধারের পর লাশ উদ্দারের চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা।
এ পর্যন্ত আরো ১০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেনবন্দর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা শুক্লা সরকার
এর আগে বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ বার লঞ্চটিকে অর্ধেকের বেশি তোলা হলেও আবার ডুবে গেছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টায় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে মালবাহী লঞ্চ ধাক্কা দিলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শীতলক্ষায় তলীয়ে যায় । সোমবার রাত ১২ পর্যন্ত ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ গুলো হলো মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮) ও অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো গেছে, রোববার যাত্রীবাহী এমভি সাবিদ আল হাসান নামের ছোট লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। এ ঘটনায় অনেকে সাঁতরে তীরে উঠে যান। তবে প্রশাসনের কাছে ২৮ জনের নিখোঁজের তালিকা রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখাকালীন সময়ে শীতলক্ষা নদীর তীরে গোগনগরে একের পর এক লাশ উদ্ধার করে সমতল ভূমিতে নিয়ে আনা হচ্ছে উদ্ধারকারী দল । এ পর্যন্ত মোট ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী ডুবুরীরা ।
এমন সারি সারি লাশের দৃম্য দেখে নিজেদের স্বজনকে খুজতে শীতলক্ষার পাড়ে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে । স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে শীতলক্ষার পাড় ।









Discussion about this post