নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সেই কুখ্যাত অপরাধী নানা অপরাধের হোতা অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩১ অক্টোবর) আসামি পক্ষে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত আগামী ২৫ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
গত ১৭ অক্টোবর দুদক ও আসামিপক্ষ চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ করেন। এরপর আদালত আদেশের জন্য এদিন রাখেন।
এদিন সেলিম প্রধানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক আসামির কাছে জানতে চান তিনি দোষী না নির্দোষ। এ সময় সেলিম প্রধান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
এ মামলায় দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল ও আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম শুনানি করেন।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যায়। ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। ওই মামলা গুলোয় তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। এ মামলায়ও তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক ।









Discussion about this post