নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে বিবি ফাতেমা (৪৫) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী নূরুল আমিন নামক অটোরিকশা চালক। ঈদের দিন ভোরে এমন হত্যাকাণ্ডের পর অনেকেই ধারণা করে বলেছেন অভাবের তাড়নায় পারিবারিক কলহের জেরেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে । বিবি ফাতেমার হত্যাকাণ্ডের শিকার নিহতের লাশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি আরেক লাশ মর্গে পাঠায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা পুলিশ । এবার অভাবের তাড়নায় গৃহবধূ আমেনা বেগম আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ পারিবারিক সুত্র থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানায়
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নতুন জামা কাপড় কেনাতো দুরের কথা! অর্থের অভাবে চিনি সেমাই ও কিনতে পারেনি।আর এই অভাবের তাড়নায় আত্নহত্যার পথ বেছে নিলেন গৃহবধূ আমেনা বেগম(২২)।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার(১৪ মে) বিকেলে ফতুল্লা থানা পুলিশ দেওভোগ আমবাগান মুন্সিবাড়ী থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ আমেনা বেগম শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চর বয়রার মৃত আবুল হোসেন মৃধার মেয়ে ও দেওভোগ আমবাগান মুন্সিবাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ সুমন মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বামীর বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ- পরিদর্শক মোঃ মহসিন জানায়, নিহত গৃহবধূ আমেনা বেগম টানবাজারস্থ জৈনক শুভ’র কোনিং কারখানায় কাজ করতো।. অপরদিকে স্বামী সুমন মালামাল নামানো উঠানোর কাজ করতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কাজ হচ্ছিলোনা। ফলে তারা প্রচন্ড পরিমান আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলো। এ অবস্থায় ঈদের নতুন জামা কাপড় কেনা তো দুরের কথা ঈদের বাজারটুকু পর্যন্ত এমনকি চিনি সেমাইটুকু পর্যন্ত কিনতে পারেনি। নিহত গৃহবধূ আমেনা বেগমের স্বামীর ধারনা আর্থিক অভাবের কারনেই তার স্ত্রী আত্নহত্যা করেছে।
ঈদের দিন সকাল ৮ টার দিকে স্বামী সুমন ও নিহত গৃহবধূ আমেনা বেগম তাদের ভাড়া বাসায় এক সাথে ঘুমিয়ে পরে। পরে সকাল ১০ টার দিকে স্বামী সুমনের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি দেখতে পান তার স্ত্রী মৃত দেহ ফাসী দেয়া অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।








Discussion about this post