আদালত পাড়ায় কোন আইনজীবীদের সাথে যেখানে কোন উচ্চবাচ্য করা কঠিন সেখানে একজন সাধারণ নারী কি করে একজন আইনজীবীকে এভাবে লাঞ্চত করতে পারে তা নিয়ে সারা দিন ই আলোচনা সমালোচনা চলেছে আদালত প্রাঙ্গণে ।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রঙ্গনে এবার এক নারীর হাতে চরমভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন এডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন। যুবদল নেতার সাবেক স্ত্রী আদালত পাড়ায় আইনজীবী নয়নকে প্রকাশ্য মারধর করার ঘটনায়ং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
ঘটনা ঘটেছে ১১ নভেম্বর সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীসহ উপস্থিত অনেকেই জানান, ওই নারী এসে বেশ কিছুক্ষণ নয়নের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে সে থাপড়াতে শুরু করে। ওই সময়ে অন্য আইনজীবীরা আসলে ওই নারী বলতে থাকে, ‘আপনি আমার জীবন শেষ করে দিলেন। ফেসবুকের মেসেজ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে সংসার তছনছ করে দিছে।’
জানা যায়, ওই নারী হলো বন্দরের বক্তারকান্দি এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন মুন্সির মেয়ে রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭)। সে গুলশান যুবদলের সভাপতি শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদের সাবেক স্ত্রী ।
এর আগে ২৪ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থানায় এ ব্যাপারে জিডি করেন ভুক্তভোগী শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ।
অভিযোগে বাদী শেখ শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ উল্লেখ করেন, বিবাদী রুবিনা আক্তার সাথী (৩৭) খারাপ প্রকৃতির ও অর্থ লোভী চরিত্রের অধিকারী। সে আমাকে দেখিয়ে আমার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন লোকজনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আমি তার এই টাকার ঋণ পরিশোধ করি। এছাড়া তার ভাই আমার বাসায় খারাপ মেয়ে নিয়ে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে তার অনৈতিক কাজ এমন পর্যায়ে পৌছে যায় যে, তার ফলশ্রুতিতে সে একাধিক পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
সবশেষ একেএম ওমর ফারুক নয়ন এর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং নয়ন সাথীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিবাদী সাথী তার স্বামী সন্তানকে ছেড়ে ২০ জানুয়ারীতে নয়নের প্ররোচনায় আমাকে উকিল নোটিশ এর মাধ্যমে তালাক নামা পাঠায় । নিয়ম মোতাবেক আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
বিবাদী এডভোকেট নয়নের প্ররোচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোক নিয়ে এসে এবং রাস্তাঘাটে খারাপ আচরণ ও ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করছে। এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন সাথীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সাথী পুনরায় আমার সাথে সংসার করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমি তাকে বিয়ে করে নতুন করে ঘর সংসার করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে বিবাদী আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে ।
গত ১৭ আগস্ট আমার নিজ বাসায় এসে বিবাদী হুমকি দিয়ে বলে, আমাকে নিয়ে যদি পুনরায় সংসার করতে না পারে তাহলে সে আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে।









Discussion about this post