রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হয়েছে ।
এমন তোলপাড় করা ঘটনায় এখনো পলাতক রয়েছে বিশাল ক্ষমতাধর সায়েম সোবহান আনভীর ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সায়েম সোবহান আনভীরকে আটক করা অথবা না করার বিষয়ে পুরো দেশেই চলছে ব্যাপক সমালোচনা। যা টক অব দ্যা কান্ট্রি
এমতাবস্থায় মংগলবার ২৭ এপ্রিল রাত ৯ টায় ড. আসিফ নজরুল তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন সারাদেশে সর্বত্র তোলপাড় করা বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরের নারী ঘটিত ঘটনা নিয়ে । যা নীম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো :
“আনভীরের কি হবে? একটি অনুমান।
(আনভীর বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি। আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে)
আনভীর বিদেশে চলে যাবে। এজন্য কাউকে শাস্তি পেতে হবে না।
সে কখনো বাই চান্স গ্রেফতার হলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে জামিন পাবে। তার কোন রিমান্ড হবে না।
তার পরিবারের সদস্যদের (যাদের নাম অভিযোগপত্রে আছে) বিষয়ে পত্রিকায় কিছু লেখা হবে না।
সোস্যাল মিডিয়ায় ভিকটিম মেয়েটি ও তার পরিবার কতো খারাপ এনিয়ে একদল মানুষ লেখা শুরু করবে।
মিডিয়ায় বসুন্ধরার বিজ্ঞাপন বাড়বে।
কালোটাকার লেনদেন বাড়বে। দু’একজনের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হবে।
মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট হবে (বা বাতিল হবে)। না হলে ঝুলে থাকবে। সাক্ষী বা প্রমান পাওয়া যাবে না।
আমরা সব ভুলে যাবো।
আবারো আনভীরের হাসিমাখা মুখের ছবি সর্বোচ্চ্ ক্ষমতাধরদের সাথে দেখা যাবে।
আনভীর আরো কোন বড় অপরাধ করার কনফিডেন্স পাবে।
একদল আবারো বলবে বিকল্প কি!
(বার্তা: আনভীর বিরোধী দল বা ভিন্নমতালম্বী না, রামপাল বিরোধী না, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদী না। সে উপযুক্ত জায়গায় দানশীল ডীপ স্টেট। কাজেই সে নির্দোষ।)”









Discussion about this post