দূর্দান্ত প্রতাপের সাথে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকার মাঝি প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানের সাথে একেবারেই অচেনা প্রার্থী মনির হোসেন কাশেমী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে নামেন। তৎকালীন সময়ে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের (ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জের) অনেকেই ধারণা ই করতে পারেন নাই এই কাশেমী চক্র কতটা ভয়ংকর ক্ষমতালিপ্সু। ভোটের মাঠের রাজনীতিতে টিকতে না পারলেও পরবর্তীতে এই কাশেমী চক্র নানাভাবে কোমলমতি এতিম শিশুদের সামনের কাতারে দাঁড় করিয়ে লাশের রাজনীতি ছক এঁটে ফাঁয়দা হাসিলের চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যত পরাস্ত হয়ে এখন কারাগারে ঠাঁই নিয়েছে ।
এতোদিন ক্ষমতালিপ্সু এই কাশিমী চক্র মাদ্রাসা কেন্দ্রীক অপরাজনীতি করলেও এবার সেই মাদ্রাসা থেকেও বহিস্কার হয়েছেন লেবাসধারী এই চক্রের অনেকেই
রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী ও মুহাদ্দিস মাওলানা হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীকে প্রতিষ্ঠানটি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মজলিসে শুরার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ বুধবার বারিধারা মাদ্রাসা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শুরার বৈঠকে তাদেরকে বহিষ্কারের কারণ হিসেবে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, হেফাজত ইস্যুতে বিতর্কিত হওয়া ও কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া’ উল্লেখ করা হয়েছে। ওই দুজনের পদে বর্তমান নায়েবে মুহতামিম মাওলানা মাসউদ আহমদ ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা যায়, গত সোমবার মাদানি সোসাইটি বাংলাদেশের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বদিউর রহমানের সভাপাতিত্বে আছরের পর মাদ্রাসা কার্যালয়ে শুরা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বারিধারার মাদ্রাসার বর্তমান মুহতামিম মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী ও মুহাদ্দিস মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীকে প্রতিষ্ঠানটির সকল পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মজলিসে শুরার রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়, ‘জামিয়ার মুহতামিম মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, হেফাজতে ইসলাম ইস্যুতে বিতর্কিত হয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হয়ে কারাবন্দি থাকায় মজলিসে শুরা কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে জামিয়ার মুহতামিম পদসহ অন্যান্য সকল পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
মুফতি হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীকে অব্যাহতিদানের কারণ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘তিনি সম্প্রতিকালে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করেছেন৷ বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হয়ে কারাবন্দি হওয়ায় মজলিসে শুরা কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে তাকেও স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।’
শুরা কমিটির অন্যতম সদস্য ও বারিধারা মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘তারা দুই জন এমন কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য ও কাজের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন, যাতে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে শুরা কমিটিকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
হেফাজত নেতা মনির হোসেন কাশিমীকে গ্রেফতার, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ, দল থেকে পদচুতি এবং সবশেষ মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের ঘটনায় ফতুল্লার মুসলিম নগরে কোন প্রভাব পরে নাই এলাকবাসীর মাঝে । কেউ কোন ভাবেই খোজও রাখে নাই কোথাকার কোন মনির হোসেন কাশেমী গ্রেফতার থেকে বহিস্কার পর্যন্ত হয়েছেন তার টু শব্দটিও কেউ করে নাই। তরে মনির হোসেন কাশিমীর দুই ভাই দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন আদালতের বারান্দায় বারান্দায়। পুত্রের এমন কান্ডে শুধু হতাশ হয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছেন গর্ভধারীনী মা ।
তবে সবশেষ বারিধারা মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের খবরে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর অনেকেই সমালোচনা করে অনেকেই বরেছেন, রাজনীতি করা এতই সোজা নাকি ! অনেক কঠিন রাজনীতি । এর উপরে আবার ক্ষমতালিপ্সু আচরণ কতটা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছিলো হেফাজত নেতাদের। এতা লোভের কারণে কাশেমীদের আম ছালা সবই গেলো ।









Discussion about this post