নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার সালিস বৈঠকের সময় ‘উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের দেহরক্ষীর’ গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে
নিহত যুবক আব্দুর রশিদ (৩৫) উপজেলার মাছিমপুরের মোল্লা বাড়ীর মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেনের শ্যালক।
শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মীরকুটির চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাচঁজনকে।
প্রত্যক্ষদশীদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আবির জানান, সন্ধ্যায় মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম এবং আবদুল কুদ্দুস ও ফয়েজ আলীর মধ্যে প্রচারণা নিয়ে সংঘাত বাধে। রাতে এ নিয়ে সালিস করছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল।
এসময় সালিসে হাজির হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেন ও তার শ্যালক আব্দুর রশিদসহ আরও কয়েকজন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এএসপি বলেন, “সালিসের এক পর্যায়ে তাওলাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের। এসময় আব্দুর রশিদ মোল্লা তাকে বাধা দিলে ভাইস চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন গুলি করে।“
পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে তিনি জানান।
পুলিশ কর্মকর্তা আবির জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাচঁজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত রশিদের বোন জামাতা ও ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেন জানান, সন্ধ্যায় ৬ নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস ও ফয়েজ আলীর মাইকিং চলছিল তখন আরেক প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম তাদের প্রচারণায় বাধা দিয়ে মাইকের তার ছিড়ে ফেলেন। এ নিয়ে রাত আটটার দিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল সালিস ডাকে।
“সেখানে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন তার শ্যালক রশিদের মাথায় শর্টগান দিয়ে গুলি করে। রশিদ ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। আমি শ্যালক হত্যার বিচার চাই।“
এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেলের মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কর্মকর্তাদের ঘটনা জানানো হয়েছে। এখনও কেউ কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেনি।









Discussion about this post