এসপি হারুন নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বে থাকাবস্থায় ইয়ার্ণ মার্চেন্ট ক্লাব থেকে ২০১৯ সালের ৭ মার্চ ও পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট জুয়ারীদের বিশাল আখড়া থেকে অসংখ্য জুয়ারীদের গ্রেফতার করে । অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসিকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে এমন অপরাধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো টানবাজারের সূতা চোরদের হোতারা । চোরাই সূতার রমরমা কারবারের বিশাল একটি মাসোয়ারা থানায় প্রতিমাসের ১ তারিখে প্রদান কারায় পুলিশের সাথে অপরাধীদের সখ্যতা দীর্ঘদিনের ।
এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের টানবাজার এলাকার অনেক সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন এই দায় ইয়ার্ণ মার্চেন্টের সভাপতি লিটন সাহা কোন ভাবেই এড়াতে পারবে কি ?
থানা পুলিশ এদেরকে আটক না করায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি ও ইয়ার্ণ মার্চেন্টের সভাপতি এমন জুয়ার ঘটনায় এখন কি বলবেন ?
জানা যায়, নগরীর টানবাজার এলাকায় সুতা ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন কার্যালয় থেকে ২২ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০ এর একটি দল।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় তাদের গ্রেফতার করা হয়৷ রোববার সকালে তাদের সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়৷
এ সময় তাদের কাছে থাকা ৩১২ পিস তাস এবং নগদ ২ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার কামাল্লা এলাকার দিলীপ চন্দ্র সাহার ছেলে বর্তমানে টানবাজার নিবাসী সর্বজিৎ সাহা (৪৩), মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানাধীন হাসাইল এলাকার মৃত মিনহাজ উদ্দিন শেখের ছেলে মো. আলমগীর (৫৬), কুমিল্লার মুরাদনগর থানার কামাল্লা এলাকার নারায়ণ চন্দ্র রায়ের ছেলে বর্তমানে টানবাজার নিবাসী কৃষ্ণ রায় (৪২), কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার ওয়াহেদপুর এলাকার নিতাই চন্দ্র রায়ের ছেলে বর্তমানে ১৪/১৫ আরকে দাস রোডের বাসিন্দা লিটন কুমার রায় (৪৬), বন্দর রেললাইনের মৃত চান মোহাম্মদের ছেলে মো. কমল ওরফে বাবু (৩২), পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার দাশপাড়া এলাকার আবুল ফয়েস হাওলাদারের ছেলে বর্তমানে জালকুড়ি মিজিরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. এনামুল (৩২), শহরের বালুরমাঠ এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে মো. হাসান জামান (৪৭), শহরের গলাচিপা আউয়াল চেয়ারম্যানের বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. নজরুল (৪৫)।
আরও রয়েছেন ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানাধীন ইব্রাহিমপুর এলাকার মৃত নারায়ণ চন্দ্র সাহার ছেলে বর্তমানে টানবাজার প্রিতম প্লাজার বাসিন্দা রিপন কুমার সাহা (৪৫), ভৈরবের টানবাজার এলাকার জহর সাহার ছেলে বর্তমানে বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা লক্ষণ সাহা (৩০), মাদারীপুরের শিবচর থানাধীন বাহাদুরপুর এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে বর্তমানে ১ নম্বর বাবুরাইল বউবাজার এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান (৩৮), ফতুল্লার ভোলাইল গেউদ্দার বাজার এলাকার মৃত আয়নাল হকের ছেলে বর্তমানে ইসদাইর রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. সোলায়মান (৩৪), কুমিল্লার বাঙ্গরাবাজার থানার টংকি এলাকার মৃত অনুকুল চন্দ্রের ছেলে বর্তমানে ৩২ নম্বর টানবাজারের বাসিন্দা তাপস কুমার শীল (৪৭), বন্দরের মদনগঞ্জ এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. শুক্কুর মিয়া (৪৯), মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানাধীন লক্ষ্মীবিলাশ এলাকার মৃত সাধু বৈদ্যের ছেলে বর্তমানে উত্তর চাষাঢ়া ব্যাপারী ভিলার বাসিন্দা শ্যামল বৈদ্য (৪২), শহরের নিতাইগঞ্জের ৬৭ নম্বর নলুয়া রোডের মো. সানাউল্লাহর ছেলে মো. আবু সাবেদ প্রিন্স (৩০)।
এছাড়া চাঁদপুর জেলার সপর আলী এলাকার মুসলিম খানের ছেলে বর্তমানে যাত্রাবাড়ি শেখদী চৌরাস্তার বাসিন্দা মো. জলিল খান (৫৭), দেওভোগ চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (৩৪), ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট হান্নান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত এনায়েত তালুকদারের ছেলে মো. রুস্তম (৫৬), শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন কোয়ারপুর এলাকার মৃত আ. হানিফ খানের ছেলে বর্তমানে যাত্রাবাড়ি দক্ষিণ কাজলা নয়ানগর এলাকার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন (৪১), ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর এলাকার উজানচরের মৃত নারায়ণচন্দ্র সাহার ছেলে বর্তমানে ফতুল্লার উত্তর মাসদাইরের বাসিন্দা জীবন কুমার সাহা (৪৪) ও ৫৫/৫ এ টানবাজারের মৃত অনু সাহার ছেলে রিপন সাহাকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্জামান জানান, সেখানে জুয়া খেলার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।
র্যাব-১০ খবর পেয়ে আমাদের সাথে নিয়ে সেখানে যায়। আমাদের কাছে তারা রাত সাড়ে তিনটায় আসামিদেরকে হস্তান্তর করে। আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত মামলা নিয়েছি এবং তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করেছি।









Discussion about this post