নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার পরও শেষ রক্ষা হলো না বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের । মেষ পর্যন্ত মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাতে শহরের খানপুর এলাকার বাসা থেকে তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।
এর আগে বুধবার সকালে বিজয় দিবসে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের র্যালিতে বাধা দেওয়া নিয়ে পুলিশকে লাঞ্ছিত করার মামলায় বিএনপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তিনিও হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন পায়। তবে পুলিশ বলছে, বিগত মে মাসের একটি নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ বুধবার রাতে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় কয়েকজন আসামিকে আটক করা হলেও তারা জামিনের কপি উপস্থাপন করায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে সাখাওয়াত হোসেন খান জামিনের কপি দেখাতে পারেননি। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন,‘নাশকতার একটি পুরানো মামলায় সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাটি সদর থানায় মে মাসে করা হয়। এ বিষয়ে সাত দিনের রিমা- আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য বুধবার সকালে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছুক্কু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া ও মহানগর মৎসজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল ইসলাম লিংকন।
উল্লেখ্য, ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বিজয় মিছিল বের করার সময়ে পুলিশ বাধা দেয়। ওই ঘটনায় সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামকে শারীরিক লাঞ্ছিত ও মারধর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ওইদিন বিভিন্ন মিছিল থেকে ৪জনকে আটক করে পুলিশ। পরে বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২ থেকে ৩ শ জনকে আসামী করে মামলা হয়। সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ছাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামাল ও ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হোসেন কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় বর্তমানে সাতজন কারাগারে রয়েছেন।









Discussion about this post