কঠোর লকডাউনেও দুই বন্ধু বেরিয়েছিলেন টিকটক ভিডিও বানাতে। গন্তব্য দেওভোগ থেকে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। পথিমধ্যে চাষাঢ়ায় বাধ সাধলেন আনসার ও বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তারা ইনিয়ে বিনিয়ে মিথ্যা অজুহাত দিতে চাইলেও পরে বেরিয়ে যায় আসল তথ্য। ফলে শাস্তিস্বরূপ ১৫ মিনিট এক পা তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় উভয়কে।
আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে শহরের চাষাঢ়া শান্তনা মার্কেটের সামনে এভাবেই লকডাউন অমান্যকারীদের এক পা তুলে দাঁড় করিয়ে রাখেন বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। জরিমানার বদলে অভিনব এই শাস্তি প্রদান করায় অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিতদের।
বিকেলে মাসুদ (১৮) ও আল আমিন (১৮) নামে দুই কিশোর হেঁটে পাড় হচ্ছিলেন চাষাঢ়া চত্ত্বর। পথিমধ্যে আনসার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন তারা। একবার বলছেন কাজে যাবেন আবার বলছেন ঈদগাহে যাবেন। বাধ্য হয়ে পাঠানো হয় বিজিবির কাছে। বিজিবি সদস্যরা চেপে ধরতেই উভয়েই বলে দেন আসল তথ্য।
টিকটকার মাসুদ জানায়, শুক্রবার টিকটক ভিডিও বানাতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। লকডাউন জানা থাকলেও কেউ কিছু বলবে না এমন ভরসাতেই বের হয়েছিলেন। কিন্তু শাস্তির মুখোমুখি হবার পর এখন ক্ষমা চেয়ে ফিরে যেতে চান নিজ বাড়িতে।
একইভাবে আরেক কিশোর আল আমিন জানায়, শুক্রবার ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছিলো না তার। বাসায় বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছেন তিনি। তাই বন্ধু মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে চাচার বাসায় যাচ্ছেন। ঈদের ছুটিতে বেড়িয়ে আসার জন্যেই লকডাউনের মাঝে বের হয়েছেন তারা।
উভয়ের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের পরে শাস্তি দেয়া হয় এক পা তুলে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ। ১৫ মিনিট পর ছেড়ে দেয়া হয় উভয়কেই। তবে ঈদগাহের দিকে নয়, তাদের বাড়ি দেওভোগের দিকেই ফিরে যেতে বাধ্য করেন তারা।
শুধু এই দুজন নয়, পুরো বিকেল জুড়ে অন্তত ২০ জনকে এভাবেই শাস্তির মুখে পরতে হয়েছে। বিনা কারণে ঘর থেকে বেরিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকেই। শাস্তিস্বরূপ দাঁড়িয়ে থেকেছেন শান্তনা মার্কেটের নিচে। অভিনব এই শাস্তি অনেকের মনেই ভীতির সঞ্চার করবে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
বিজিবির দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। অধিকাংশের প্রধান অস্ত্র অসুখ আর ওষধ। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেই তারা এই অজুহাত দেয়া শুরু করেন। তবে আমরাও প্রেসক্রিপশন না দেখে তাদের ছাড় দিচ্ছি না। পুরো লকডাউন জুড়ে এভাবেই নির্দেশনা পালনে বাধ্য করার জন্য আমরা কাজ করে যাব।









Discussion about this post