দীর্ঘদিন যাবৎ এমন কোন অপরাধ নাই যা বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ ও তার বাহিনী দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে না। এর পুর্বেও মাকসুদ চেয়ারম্যানের অপরাধের নানা ফিরিস্তি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এমন অপরাধের বিষয়ে কোন ধরনের কর্নপাত করে নাই । এতো অপকর্মের পর এবার এই করোনাকালে দরিদ্র নারী গ্রাম পুলিশের বেতন ভাতা নিয়ে তামাশা করার জোর অভিযোগ উঠেছে ।
এবার বন্দরে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার অপরাধে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ জোসনা বেগম কে ৫ বছরের বেতন আটকে দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাকসুদের বিরুদ্ধে।
১৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে বন্দর প্রেসক্লাবের গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ জোসনা বেগম।
তিনি আরো জানান, চেয়ারম্যান মাকসুদের চরম উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমি গত ৫ বছর ধরে সরকারি বেতন ভাতা কিছু পাচ্ছিনা। আমি মুছাপুর এলাকার একজন সাধারন নাগরিক হিসেবেও করোনাকালেও মাকসুদ চেয়ারম্যানের কাছে কোন সহযোগিতা পায়নি। বেতন ও ভাতা না পাওয়ার কারণে আমিসহ আমার পরিবার মানবতর জীবন যাপন করে আসছি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, গত ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত গ্রাম পুলিশদের মাঝে সাইকেল পোষাক ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ করে উপজেলা প্রশাসন। সেখানে আমি উপস্থিত থাকলেও রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন আমাকে সাইকেল বা পোষাক কিছুই দেয়নি। এর প্রতিকার চেয়ে আমি বিগত সময়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও এর কোন সুফল আমি এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি প্রতিদিন আমার দায়িত্ব ও ডিউটি পালন করে চলছি।
জোসনা বেগমের এমন অভিযোগ ছাড়াও এর পূর্বে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে শাসনের বাগ এলাকায় চেয়ারম্যান রাজাকারপুত্র মাকসুদ হোসেনের শেল্টারে অবৈধভাবে ২৫টি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ার জোর অভিযোগ ছিলো । এদের মদ্যে অন্যতম লতিফ, আলী হোসেন, মজিবর, গোলাপ , মোতালেব, নুরু, শাহ আলম, আলী আকবর, রহিম বাদশাসহ অন্যান্যরা জেলা প্রশাসন , পরিবেশ অধিদপ্তর ও মুছাপুর ইউপি চেয়াম্যান মাকসুদকে নিয়মিত মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে । যাদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারছে না কোন সংস্থা । বিরামহীনভাবে মুছাপুর ইউনিয়নের শাসনের বাগ এলাকায় বিশাল এই ইটভাটায় জ্বালানী কাঠ পোড়ানোর কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হলেও কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না ।
নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছি । এলাকায় আমার অনেক জনপ্রিয়তা । লেইখ্যা যা পারেন ,করেন ।খোদ এমপি আমারে স্কুলের সভাপতি বানাইছে । এমনই দম্ভোক্তি করেন সদ্য প্রকাশিত তালিকাভুক্ত রাজাকারপুত্র এক ইউপি চেয়ারম্যন মাকসুদ হোসেনের ।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাকসুদ হোসেনের বাবা প্রয়াত রাজাকার রফিক চেয়ারম্যান জীবদ্দশায় ৪ টি বিয়ে করেন। মোট ৮ পুত্রের মধ্যে প্রায় সবাই তারকা সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী । তাদের মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন কালু, মোর্শেদ হোসেন মুন্সি ও আনোয়ার হোসেন আনার পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী । প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয় মোয়াজ্জেম হোসেন কালু। এরপর মারা যান কুখ্যাত রাজাকার এমএ রফিক চেয়ারম্যান ।
২০১১ সালে কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পেয়ে নির্বাচনে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন পেশাদার খুনি আনোয়ার হোসেন আনার।
সেই কুখ্যাত খুনি আনোয়ার হোসেন আনারের দূর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়েও রয়েছে এই রাজাকার পরিবারের নানা তথ্য ।
আর করোনা কালের বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে একজন নারীর নাথে এমন আচরণ করায় রাজাকার পরিবার ও চেয়ারম্যান মাকসুদ কে ঘিরে সকল অপকর্ম বন্দরবাসীর মুখে উচ্চারিত হচ্ছে ।








Discussion about this post