সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত বলেছেন, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আন্দোলন ও শেখ হাসিনার দয়ার ফসল। অথচ নির্বাচন এলেই তিনি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
বৃহস্পতিবার ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিটিউশনের নাম ফলক ভাঙ্গার প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত আরো বলেন, এবারও তিনি নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করার জন্য তার স্ত্রীকে প্রার্থী করেছেন। তাই আজ দু:খের সাথে বলতে হয় যে আওয়ামীলীগ রাজপথে যুদ্ধ করে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের দূর্নীতি থেকে দূনীতির বীজ ধ্বংস করতে ২০০১ সালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করে আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতায় এনেছি। সেই আওয়ামীলীগ সরকার বর্তমানে ক্ষমতায় অথচ আমাদের নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য আজ প্রতিবাদ সভা করতে হয় মানববন্ধন করতে হয় ।
এটা আমাদের কর্মী ও নেতাদের জন্য কতটুকু কষ্টের সেটা আমি বুঝি। বর্তমানে আওয়ামীলীগের স্বর্ণযুগ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন সেই স্বর্ণযুগে আমাদের নেতাকর্মীরা আজ নির্যাতিত। শুধু কর্মীরা নয় এখানকার এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একজন প্রবীন নেতা আনোয়ার হোসেনের উন্নয়ন কাজের নাম ফলককে নিজের নাম না থাকায় তার নির্দেশে তার নেতাকর্মীরা নামফলক ভেঙ্গে উল্লাস করেছে। অথচ যে নেতাকর্মীদের জন্য শেখ হাসিনা আপনাকে ছাড় দিয়ে এমপি বানিয়েছে আপনি সে নেত্রীর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের নেতাদের জোড় করে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করিয়ে মনে করছেন জাতীয়পার্টি শক্তিশালী হয়ে গেছেন। যখনই পৌরসভা নির্বাচন আসে আপনি নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করেন।আর স্কুলের নাম ফলক ভেঙ্গে আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন আপনি ত্রাস আর সন্ত্রাস করে নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন। এবার এটা হতে দিবে না আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এবার বিভক্ত আওয়ামীলীগ এক জোট হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করে আওয়ামীলীগের উন্নয়নকে ত্বরাম্বিত করবো ইনশাল্লাহ।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম রোমা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান, সোনারগাঁও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বাবু, মামুন আল ইসমাঈল, মোস্তফা কামালা নিলু, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি খোকন মিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, নাম ফলক ভাংগার ঘটনায় এর পূর্বে নারায়ণগঞ্জ শহরে সোনারগাঁওয়ের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।








Discussion about this post