যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়াল্ট ডিজনি পুনরায় ফিরে আসা দেশের পোশাকখাতের জন্য অত্যন্ত শুভ সংবাদ বলে মন্তব্য করেছে দেশের নিটওয়্যার খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ।
শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি মো. হাতেম এক ভিডিও বার্তায় এ মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে আবারও পোশাক কিনবে ওয়াল্ট ডিজনি। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসের পর বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা বন্ধ করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। নানা সূচকে দেশের পোশাক খাত ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করায় নতুন করে পোশাক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ব্র্যান্ড। আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াল্ট ডিজনির পক্ষ থেকে ঘোষণা না এলেও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে শুক্রবার (২ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিকেএমইএর প্রথম সহ সভাপতি মো. হাতেম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ওয়াল্ট ডিজনি বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্যে এটি অত্যন্ত শুভ সংবাদ। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর যখন ফিরে গিয়েছিল, ইমেজ ক্রাইসিস হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য বিশালভাবে। সেইখান থেকে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি তার প্রমাণ হচ্ছে ওয়াল্ট ডিজনির ফিরে আসা। এটি আন্তর্জাতিক একটা স্বীকৃতি। বাংলাদেশের পোশাক খাত বর্তমানে বিশ্বের যতগুলো দেশে পোশাক রফতানি করে, তাদের জন্যে রোল মডেল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।’
আইএলও এর বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া কারখানাগুলো বিক্রেতা (ভেন্ডর) হিসেবে স্বীকৃত হবে তখনই যখন কিনা কারখানাগুলোর নির্দিষ্ট সংস্কার মানদণ্ড সঙ্গে করে নিরুপণ অথবা আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিলে (আরএসসি) অংশগ্রহণের প্রয়োজন হবে।
বিগত বছরগুলোতে সুরক্ষার সংস্কৃতি তৈরির জন্য এই শিল্প অনেক অভূতপূর্ব উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগ করেছে, বিশেষ করে অগ্নি, বৈদ্যুতিক এবং স্থাপত্যবিষয়ক অখণ্ডতা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিপুল বিনিয়োগ এবং কারখানা সংস্কার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে ফলো-আপ করেছে। সমগ্র সুরক্ষা রূপান্তর কর্মসূচিটি বাংলাদেশ সরকার, আইএলও, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, সরবরাহকারীগণ (ম্যানুফ্যাকচারার) এবং গ্লোবাল ইউনিয়নগুলো স্বচ্ছভাবে সমর্থন করেছিল এবং এতে সহায়তা দিয়েছিল।









Discussion about this post