জেলা আওয়ামীলীগের মিটিংয়ে আমি (গাজী) আর বাবু ভাই দুইজনে মিলে বলেছি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা আওয়ামীলীগকে কঠিন কঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কঠিন সিদ্ধান্ত না নিতে পারে তাহলে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো মূল্যায়ন থাকবে না। আপনারা যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে আমাদেরকে আর ডাকবেন না। আপনারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। সুতরাং যে কোন সিদ্ধান্ত কঠিন ভাবে নিবেন সঙ্গে সঙ্গে গৃহীত করবেন, তাহলে আমরা আপনারদের সাথে আছি। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হবে না ।
এভাবেই নেতাদের সমালোচনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে রেড়িয়ে এসে এমন মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) ।
শনিবার (৬ নভেম্বর) নগরীর ২ নম্বর রেলগেইট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এইসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই সভা শেষ হয় বেলা তিনটায়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে চারদিকে নির্বাচন চলছে, এই নির্বাচনে অনেক ভুলভ্রান্তি রয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের অনেক কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চিঠি এসেছে, এসব যারা করে তাদেরকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করতে হবে। এই নির্দেশনা যদি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাস্তবায়ন না করেন তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থা দিনকে দিন নিচের দিকে যাবে। কারণ বিদ্রোহী প্রার্থীরা টাকা নিয়েই দাঁড়াবে এবং তাদের পক্ষে আমাদের কর্মীরা চলে যাবে। আমাদের পার্টি নিঃশেষ হয়ে যাবে। সুতরাং ত্যাগী কর্মীদের বিপক্ষে যারা কাজ করবে তাদেরকে বহিষ্কার করতে হবে। জেলা কমিটির বিশেষ একটি ক্ষমতা রয়েছে সেই ক্ষমতা যদি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাস্তবায়ন না করেন তাহলে কি জন্যে আপনাদের জেলা কমিটিতে বসিয়েছেন একথা আমরা তাদেরকে বলেছি। ওনারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে ওনারা আজকে থেকে অ্যাকশনে যাবেন।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক মহিলা সাংসদ অ্যাড. হোসনে আরা বাবলী, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ৩০ সদস্য।
জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলাকালে নেতাদের নিয়ে নানা মন্তব্য করে একে অপরের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েন । এমন দৃশ্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে শহরজুড়ে ।









Discussion about this post