বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের আতংকে যখণ সারা বিশ্ব হাবুডুবু খাচ্ছে আর এই হাবুডুবুর তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠিক এমতাবস্থায় সারাদেশ লগডাউনের মধ্যে একদিকে ঝাকে ঝাকে পোষাক শ্রমিক আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে । অপরদিকে এই চরম দূর্যোগের মধ্যে দেখো দিয়েছে পঙ্গপাল আতংক । এমন আতংকের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অনেকেই সমালোচনা করে বলছেন এমনিতেই করোনার কারণে মানুষ আতংকের মাঝে রয়েছে এর উপর আবার পঙ্গপাল ও পোষাশ শ্রমিকদের আগমণ নতুন করে মহাতংকের সৃষ্টি করছে
কক্সবাজারে পঙ্গপাল আতঙ্ক !
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ছোট পোকা আক্রমণ করার পর তা দমন করা হয়, কিন্তু পরবর্তীতে তা আবার আক্রমণ করলে শঙ্কিত হয়ে পড়ে সেখানকার মানুষ। অনেকেই একে পঙ্গপাল বলে ধারণা করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গবেষকসহ তদন্ত দল টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
শুক্রবার (১ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বেশ কিছুদিন আগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ঘাস ফড়িংয়ের মতো কিছু ছোট পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কক্সবাজারের উপ-পরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি ঘাসফড়িংসদৃশ এসব পোকা আবারও দেখা দিলে কৃষি মন্ত্রণালয় এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। শুক্রবার সকালেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকেও পৃথক টিম রওনা দিচ্ছে। ঘাসফড়িংসদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় এই পোকা শনাক্তকরণসহ আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংসে এই টিম কাজ করবে।
এই পোকা তেমন ক্ষতিকর নয় মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পোকা মরুভূমির ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পঙ্গপাল জাতীয় কোন পোকা নয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকা নারায়ণগঞ্জমুখী হাজারো পোশাক শ্রমিক :
করোনার মহামারির ঝুঁকি মাথায় নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকা নারায়ণগঞ্জমুখী হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সত্ত্বেও বিকল্প উপায়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আসছে পোশাক করখানার শ্রমিকরা।
শুক্রবার (০১ মে) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় দেখা যায়।
ফেরিতে করে পদ্মা নদী পার হয়েছেন হাজারো গার্মেন্টস শ্রমিক। শুক্রবার সকালে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরিতে করে শিমুলিয়া ঘাটে যেতে দেখা গেছে হাজার হাজার পোশাক শ্রমিকদের। কোন গণপরিবহন না থাকায় বিকল্প পরিবহনে করে ঢাকা যাচ্ছে তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকল থেকে ট্রলার ও ফেরিতে নদী পাড়ি দিয়েছেন ঢাকামুখী পোশাককর্মীরা। সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালুর ঘোষণা দেয়ার পর মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী শ্রমিকদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ।
ফেরিঘাট সূত্র জানায়, আজও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী পোশাককর্মীদের ভিড় ছিল। হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন তারা। সকাল থেকে ফেরি ও ট্রলারযোগে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়াঘাটে গেছেন হাজারো পোশাককর্মী।
পোশাক শ্রমিকরা জানিয়েছে, মালিকপক্ষের চাপে কাজ যোগ দেয়ার জন্য তারা ঢাকা যাচ্ছে। কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। এজন্য করোনার মহামারি মাথায় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চাকরি বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ছুটছে পোশাক শ্রমিকরা।









Discussion about this post