সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকায় করোনা টিকা বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করেছে এলাকাবাসী। রোববার সকালে টিকাদানের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ দুই প্রতারককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জুতারমালা পড়িয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
সোনারগাঁ প্রতিনিধি :
সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা এলাকায় জন্ডিসের টিকাকে করোনা ভাইরাসের টিকা বলে বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী।
২২ মার্চ রোববার সকালে দুই প্রতারককে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে জুতারমালা পড়িয়ে এলাকায় ঘুড়ানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন অভিযোগকারী না থাকায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বদরুজ্জামান ওরফে বদুর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী সূত্র জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কোবাগা হরি মন্দিরে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে মাইকিং করা হয়। রোববার সকালে প্রতারকরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে হেপাটাইটিস বি- জন্ডিসের টিকা দিয়ে প্রতি মানুষের কাছ থেকে ২-৫শ পর্যন্ত টাকা নিতে শুরু করে।
বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে যাত্রাবাড়ির মীর হাজারিবাগের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবজাল হোসেন ও পটুয়াখালীর গোমরাবাড়ির মৃত আব্দুল লতিফ খাঁনের ছেলে বাবুল ইসলামকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জুতার মালা পড়িয়ে এলাকায় ঘুড়ায়।
পরে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হলে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই প্রতারককে আটক করে। ওই গ্রামের কোন ব্যক্তি অভিযোগ না করায় তাদের জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বদরুজ্জামান ওরফে বদুর জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিশ্বের উন্নত দেশেই করোনা প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রতারকরা এ সুযোগ নিয়ে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের টার্গেট করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি এঁটেছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. আহসানউল্লাহ বলেন, এলাকাবাসী প্রতারণার অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তাদের স্থানীয় এক মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।









Discussion about this post