সদর উপজেলার শহরে‘করোনার ভাইরাসের উপসর্গ’ নিয়ে এবার সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। সিদ্দিুকর রহমান নামে ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।
মৃত সিদ্দিকুর রহমান শহরের মিশনপাড়া এলাকার জলিল মিয়ার ছেলে এবং ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুর ঘনিষ্ঠজন। তিনি গেল কয়েকদিন ধরেই জ্বর সর্দি শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। পরে নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে করোনা সন্দেহে কুর্মিটোলায় ভর্তি করা হলে এদিন তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।
জানা গেছে, শহরের মিশনপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি । ওই এলাকায় নিজের মালিকানাধীন তিনতলা ভবনে থাকতেন তিনি। গত ১০ দিন যাবত জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি ।
পরিবারের বরাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাসিক ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেন, গত দশদিন যাবত তিনি করোনার লক্ষণ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল তার। কিন্ত সোমবার রাতে তার অবস্থা বেগতিক দেখে সিএনজিতে করে শহরের মেডিনোভা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
শকু আরও বলেন, তাদের পরিবারের কেউই সম্প্রতি বিদেশে যাননি বা ফেরেননি । তার লাশ এখনও হাসপাতালে রয়েছে। করোনার সব ধরনের উপসর্গ তার ছিল । তবে পরীক্ষার রিপোর্ট না পেয়ে কিছু বলা যাবে না। সিভিল সার্জন, ওসি এবং আমরা মিশনপাড়া এলাকাটি লকডাউন করে দিয়েছি ।
প্রাপ্তক তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নারায়ণগঞ্জের ৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ জন। গত চব্বিশ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। জেলাটিকে ইতিমধ্যে করোনা ক্লাস্টার বলে চিহ্নিত করেছে আইইডিসিআর।









Discussion about this post