নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুকুরে পুলিশের গাড়ি ফেলে দিয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘কমিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি, জেলা গোয়েন্দা শাখার খ-জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহরিয়ার হাসান ও ডিএসবি শাখার ডিআইও-২ মো. হুমায়ুন কবির খানকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে পালিয়ে যাওয়া সেই আসামিকে ঘটনার তিনদিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সোনারগাঁ পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় পুলিশের গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান আসামি আলমগীর। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ৪২ হাজার পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার কৃত আসামি আলমগীর হোসেন ও তার ব্যবহৃত গাড়ী (প্রাইভেটকার) জব্দ করার পর সোনারগাঁ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। এমন সাংবাদিক সম্মেলন করে ফের সোনারগাঁ থানার যাওয়ার পথে আসামী আলমগীর হোসেন কে দিয়ে তার জব্দকৃত প্রাইভেটকার চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয় । এই গাড়ি সোনারগাঁয়ের একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আসামী আলমগীর। আর এই গাড়ীতে থাকা দারোগা কাজী সালেহ আহম্মেদ এবং এসএম শরীফুল ইসলাম পানিতে ডুবেই মৃত্যুবরণ করেন। আর গুরুতর আহত হন সোনারগাঁ থানার এএসআই রফিক । এমন হৃদয়বিদারক ও লোমহর্ষক ঘটনাকে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই ঘটনার পর পরই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি ফেসবুক পেইজে “দূর্ঘটনা” বলে বলে প্রচার করা হয় । এমন প্রচারে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খোদ জেলা পুলিশের অনেক কর্মকর্তারা ।
এই তদন্ত কমিটি গঠনের পরও কেউ কেউ মন্তব্য করে বলেন, কি আর হবে, নিহতদের পরিবারকে নানাভাবে কোন প্রকার প্রতিবাদ বা এই ঘটনায় নেতিবাচক মন্তব্য না করার জন্যও নিহতদের স্বজনদের কৌশল অবলম্বন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা । আর ঘটনার পর পর যেখনে এই মর্মন্তিক মৃত্যুকে দূর্ঘাটনা বলা হয়, সেখানে এই তদন্ত কমিটি কি করে ওই মন্তব্যের বাইবে গিয়ে কোন নতুন তথ্য পেলেও তা প্রকাশ করবে তদন্ত প্রতিবেদনে। অতঃএব যারা আপনজন হারায় তারাই বুঝেন আর অন্যদের অনেকেই মজা (ফায়দা) মারেন কোন কোন ক্ষেত্রে ।
এমন মৃত্যূর ঘটনায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ আরো বলেন, এই ঘটনাকে দূর্ঘটনা বলে প্রমাণ করতে আসামী আলমগীর ডুবন্ত গাড়ী থেকে বেড়িয়ে এসে চিৎকার করে পুলিশদের বাচান, পুলিশদের বাচান বলে চিৎকার করেছে , এমন প্রচার চালানো হচ্ছে পুলিশের মাঝে । কোন কোন সাক্ষিও হাজির করা হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে । আর এই ঘটনায় ৪২ হাজার পিছ ইয়াবার মধ্যে ৩৮ হাচার ২০০ পিছ ইয়াবা দেখানো হয়েছে দায়ের করা মাদক মামলায় । যার মামলার নম্বর সোনারগাঁ থানার ২৪(১)২২। এই মামলাটি যাচাই করলেই বেড়িয়ে আসবে শুভংকরের ফাঁকি আছে কতটুকু।








Discussion about this post