উচ্ছেদের শিকার কয়েকজন দোকানী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমাদের কাছ থেকে যে লাইনম্যানেরা (চাঁদাবাজরা) প্রতিদিন দফায় দফায় নেতার নামে, থানা – হাইওয়ে – র্যাব পুলিশের নামে, সড়ক ও জনপথ এর কর্তাদের নামে, সাংবাদিকেদের নাম করে নিয়মিত মোটা অংকের টাকা (চাঁদা) তুলে নিচ্ছে তাদের ধরলেই বেড়িয়ে আসবে কারা এই টাকার (চাাঁদার) ভাগ নেয়। আমরা গবীর মানুষ হকারী কইরা সংসার চালাই আমদের দোষ কি । যারা ওই চান্দার ভাগ নেয় তাদের দোষ নাই ? আমাদের রিজিকের উপর এই হামলা চালাইলো, ওই হারামি যারা চান্দার ভাগ নেয় আর ওই লাইনম্যানদের বিচার করবো কে ?
প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে হকাররা আরো বলেন,“ কয়দিন পরে আইয়্যা দেইখেন, আবার এই দোকান গুলি এইখানেই বইবো ! কেমনে বইবো ? প্রশ্ন ছড়ে দিয়ে তিনিই উত্তরে বলেন, যারা উচ্ছেদ করতাছে তারাই চান্দার রেট বাড়াইয়া আবার আমাদের গরীবদের রক্তচোসা শুরু করবো । মূলতঃ চান্দার রেট বাড়াইতেই এই উচ্ছেদ হইতেছে ।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম শিমরাইল মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকান ও ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করেছে কাচঁপুর হাইওয়ে থানা এবং সড়ক ও জনপদ ।
এর পূর্বে অসংখ্য বার এম উচ্ছেদ উচ্ছেদ নামক ভানুমতির খেলা দেখা গেলেও এবার উচ্ছেদকারী সংস্থার কর্তারা বলেছেন, কোন অবস্থাতেই আর অবৈধ দখলদারদের সড়কের পাশে বসতে দেয়া হবে না ।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টম্বর) সকাল ১১ টায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে শিমরাইল মোড় থেকে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক পর্যন্ত।
দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে যাচ্ছে। মহাসড়কের দুইপাশ অবৈধ কোন দোকানপাট না থাকলে যানজট সৃষ্টি হবে না । সে লক্ষ্যে মহাসড়কের দুইপাশে ১ হাজার দোকান পাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় কাচঁপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জাামান, শিমরাইল ক্যাম্প এর টি আই মশিউর রহমান,কাচঁপুর ক্যাম্প এর টি আই ফারুক, সার্জেন্ট, আনসার উপস্থিত ছিলেন।









Discussion about this post